প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশে নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে চূড়ান্ত সফলতা এনে দিয়েছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। ২০১১ সাল থেকে যার পথচলা শুরু হয়েছিল, এরপর ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপিকে অভাবনীয় সফলতা এনে দিয়ে দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন প্রশান্ত কিশোর। এবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসাবে তাঁকে দায়িত্বে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এতে বাধ সেধেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই, পিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা শুরু হলো।

প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনে তৃণমূলকে অভাবনীয় সফলতা এনে দেবার পর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল ভোট কুশলী পিকের। কিন্তু এই নিযোগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছিল। মামলায় পাঞ্জাব সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ পাবার পর আইনি ঝামেলায় জড়াতে ইচ্ছুক নন প্রশান্ত কিশোর। তাই এই কাজ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। এতে যদি তিনি যোগ না দেন, তবে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে।

ভোট কুশলী হিসেবে প্রশান্ত কিশোরের সফলতা বলা যেতে পারে আকাশচুম্বী। একবার মাত্র ব্যর্থ হলেও, প্রতিবারই সফল হয়েছেন তিনি। তৃণমূলকে এনে দিতে পেরেছেন বিরাট সাফল্য। তিনি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, বিজেপি যদি ২ অংকের সংখ্যা পার করে, তবে কাজ থেকে অব্যাহতি নেবেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২ অংকের সংখ্যা পার করতে পারেনি বিজেপি। আবার, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে ভোট কুশলী রূপে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।

আবার, ইতিমধ্যে প্রশান্ত কিশোর জানিয়ে দিয়েছেন যে, কোন দলের হয়ে সরাসরি তিনি ভোট কুশলীর কাজ আর করবেন না। তবে, তাঁর সংস্থা নিজের কাজ করে যাবে। এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ আসার পর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টার পদে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। আবার, তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্যসভার সাংসদ করে দেবার জল্পনা শুরু হয়েছে। এবার এই পরিস্থিতিতে নিজের পেশাতে স্থির থাকবেন, নাকি সরাসরি রাজনীতিতে প্রবেশ করবেন? তার উত্তর একমাত্র প্রশান্ত কিশোরই জানেন।