এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নবান্নের রং গেরুয়া হলেই বাংলায় দুষ্কৃতীরাজ খতম করতে ‘এনকাউন্টার দাওয়াই’? দাবি বিজেপি নেতার

নবান্নের রং গেরুয়া হলেই বাংলায় দুষ্কৃতীরাজ খতম করতে ‘এনকাউন্টার দাওয়াই’? দাবি বিজেপি নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মমতা সরকার পুলিশ প্রশাসনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে, এমন দাবি এর আগেও বহুবার উঠেছিল বিরোধীদের তরফে। বাংলায় শাসক দল প্রশাসনকে নিজের হাতে তুলে রেখেছিলেন বলে বহুবার দাবি করে সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধী নেতাদের। যেখান থেকে বাদ যাননি রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রে রাজ্যের রিপোর্ট জমা দিতে গিয়ে দিল্লি থেকেই রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তবে এ প্রসঙ্গে তৃণমূল দল তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বিজেপির হয়েই তিনি কথা বলেছেন এই বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল তাঁকে। তবে সম্প্রতি বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর কথাতেও সেই একই কথা জানা গেছে।

এদিন বিজেপি নেতৃত্ব বাগনান এলাকার থানায় ডেপুটেশন জমা দিতে যায়। সেখানে কিংকর মাঝির নামক বিজেপি নেতা খুন হওয়ায় তার দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক সেই দাবি করা হয় বলে জানা যায়। সেই সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতাদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করা হয় বলে জানা গেছে। আর সেখানেই সেখানেই রাজ্যের শাসকদলের হয়ে মুখ খুলতে দেখা গেছে এই বিজেপি নেতাকে।

নবান্ন প্রসঙ্গে সায়ন্তন বসু বলেন তেল আপনার, লঙ্কাও আপনার। সুতরাং পুড়বেন আপনিই। বস্তুত বিজেপিকে হনুমানের দল বলায়, বিজেপি নেতার কটাক্ষ, তাঁরা হনুমানের দল হতে পারেন, কিন্তু আইএসআই বা জামাতের দল নন তারা। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আগে অশান্তি হলে থানা জ্বালানো হত। এখন তালা ঝোলানো হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে অনশন করে না খেয়ে মরতে হবে তাদেরকে। দুর্নীতি প্রসঙ্গে শাসক দলকে “আলি মাতা চল্লিশ চোর” বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে এনকাউন্টার করবেন সেই দাবিও শোনা গেছে তাঁর কন্ঠে। বস্তুত উত্তরপ্রদেশে বিকাশ দুবে এনকাউন্টার ঘটনা কারো অজানা নয়।

এক্ষেত্রে তিনি বাগনানের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দাবি করেন, সেখানে যে সমস্ত রাজা গজারা আছেন, ক্ষমতায় এলে তাদের সকলকে বিকাশ দুবে করে দেবেন। সেইসঙ্গে তাঁর কথায় উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার গুন্ডা মস্তানদের একেবারে পকেটে পুরে রেখেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর মতে, উত্তরপ্রদেশে গুন্ডারা এখন জেল থেকে বের হতে ভয় পায়।

কারণ, তাদের ভয় জেল থেকে বেরোলেই গাড়ি দুর্ঘটনা হতে পারে। বস্তুত বাগনানের বিধায়কের নাম অরুণাভ সেন ওরফে রাজা। তাই রাজা গজা বলতে যে তাঁকেই কটাক্ষ্য করা হয়েছে, সে কথা বুঝতে বাকি নেই কারো। এই প্রসঙ্গে বিজেপির নেতার মন্তব্যের উত্তর দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মতে, সায়ন্তন বসু একটি জোকার। তাই তাঁর মন্তব্যের কোন উত্তর দিতে তিনি রাজি নন।

এছাড়া, এই প্রসঙ্গে তৃণমূল গ্রামীণ এলাকার সভাপতি পুলক রায় জানান, বস্তুত এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। কিন্তু বাংলায় এই সংস্কৃতি চলে না। তাই বিজেপি যতই এই ধরনের কথা বলবে ততই যে তারা মানুষের থেকে দূরে সরে যাবে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। তবে ভোটের আগে বাংলার দুই দলের বিরোধ যে ভালোমতোই জোরদার হয়েছে, সেই কথাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!