এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বঙ্গবাসীর মনে ক্রমে ফিরছে চেনা পুজোর হুল্লোড়! ভিড় আর সংক্ৰমণ আতঙ্কেই উড়তে চলেছে ঘুম?

বঙ্গবাসীর মনে ক্রমে ফিরছে চেনা পুজোর হুল্লোড়! ভিড় আর সংক্ৰমণ আতঙ্কেই উড়তে চলেছে ঘুম?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা ভাইরাসের কারণে এবার উৎসব সেভাবে পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। যার জেরে বাংলার মানুষের আনন্দে অনেকটাই ভাটা পড়েছে‌। পূজামণ্ডপগুলোতে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে নো এন্ট্রি জোন। হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে সপ্তমী পর্যন্ত সেভাবে রাস্তায় জনতা জনার্দনকে দেখা যায়নি। কিন্তু অষ্টমীর অঞ্জলীর সময় আসতে না আসতেই রাস্তায় আছড়ে পড়ল জনতার ঢল। আর একধাপে এত সংখ্যক মানুষ মহাষ্টমীর দিন রাস্তায় বেরিয়ে যাওয়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়া নিয়ে আতঙ্কিত বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, শনিবার বেশিরভাগ বড়পূজায় মহাষ্টমীর অঞ্জলির সময় দূরত্ব রক্ষার চেষ্টা থাকলেও ছোট পুজোর ক্ষেত্রে এই সমস্ত নিয়মের তোয়াক্কা করা হয়নি। অন্যদিকে বিকেলে গড়িয়াহাট এলাকায় মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মত। টালাপার্কের পুলিশ আবাসন লাগোয়া রাস্তাতেও সাধারণ মানুষ যেভাবে সামাজিক দূরত্বকে উপেক্ষা করে বেড়িয়ে পড়েছিলেন, তা দেখে বিশেষজ্ঞদের চোখ কপালে উঠেছে।

এছাড়াও বেহালাতে করোনা ভাইরাসের মধ্যে এই ভিড় সত্যিই কেউ আশা করেননি। কিন্তু সপ্তমী পর্যন্ত মানুষ বাড়িতে গৃহবন্দী হয়ে থাকলেও অষ্টমীর সকাল থেকে কার্যত রাস্তায় যেভাবে জনতার পদধ্বনি শোনা গেল, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার, মানুষ করোনা ভাইরাসকে উপেক্ষা করে এবার আবারও রাস্তায় নামল। যার ফলে একাংশ বলেছেন, যার জন্য হাইকোর্টের রায় বলবৎ করা হয়েছিল, তা এক মুহূর্তে ভেস্তে গেল। সাধারণ মানুষ এইভাবে সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন না করে রাস্তায় নামাতে পুজোর পরে করোনা ভাইরাস আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বেশ কিছু জায়গায় অঞ্জলীর সময় স্যানিটাইজার এবং সামাজিক দূরত্ব পালন করার কথা বলা হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা অমান্য করতে দেখা গেছে। ঝাড়গ্রামের জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ে কনকদূর্গা মন্দিরে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে প্রশাসনকে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে বালুরঘাট, ইংলিশবাজার থেকে শুরু করে কোচবিহার, বিভিন্ন জায়গায় সন্ধ্যা নামতে নামতেই মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। আর এই সমস্ত কিছু দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহু চেষ্টা হয়েছিল যাতে পুজোর মধ্যে সামাজিক দূরত্ব পালন করা যায়। তার জন্য হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রায়দানও করা হয়েছিল।

ষষ্ঠী থেকে শুরু করে সপ্তমী পর্যন্ত মানুষ সেভাবে রাস্তায় না বেরোনোয় অনেকেই মনে করেছিলেন, এইবার হয়ত মানুষ করোনা ভাইরাসকে মাথায় রেখে সেভাবে উৎসবে সামিল হবেন না। কিন্তু অষ্টমীর দিন যেভাবে জনস্রোত দেখা গেল, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, পুজোর পরে করোনা ভাইরাস নিয়ে ক্রমাগত চিন্তা বাড়বে বঙ্গবাসীর। সব মিলিয়ে এবার গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, ভিড়ের মধ্যে পুজো দর্শন করতে গিয়ে পুজোর পরে করোনাসুর আরও বৃদ্ধি পায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!