ব্যাঙ্ক থেকে প্যান ও ভোটার কার্ড নিয়ে চূড়ান্ত প্রতারণার শিকার হয়ে আয়কর দপ্তরের জালে সাধারণ মধ্যবিত্ত জাতীয় August 28, 2018 একটি ফার্মাসিউটিকল সংস্থার সেলস এক্সিকিউটিভ পদে কর্মরত অনুজ কুমার শ্রীবাস্তব। অস্থায়ী নিবাস পূর্ব দিল্লির লক্ষ্মীনগরের এক ভাড়া বাড়িতে। চলতি বছর জানুয়ারী মাসে হঠাৎ একদিন ২৭ বছর বয়স্ক এই যুবক জানতে পারলেন তিনি মোট ১৩টি সংস্থার ডিরেক্টর। এবং বিগত ৭ মাসে তাঁর বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ২০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এমন তথ্য কানে আসলে মন্দ লাগার কথা নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে বিষয়টা একটু আলাদা। জনৈক অনুজ কুমার শ্রীবাস্তব আয়কর দফতরের নোটিশ মারফত এই কথা জানতে পারেন। প্রথমে এটা আয়কর দফতরের বিভ্রান্তি মনে করে আমল না দিলেও তাঁর সম্বিত ফেরে আয়করের বিভাগেরই এক কর্তার ফোনে। ওই কর্তা জানান, ৬১.৩৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ম্যাক্সকার্ট ইমপেক্স নামে এক সংস্থা হংকং’র অপর একটি সংস্থা থেকে একটি সফটওয়্যার কিনেছে। এবং এই ম্যাক্সকার্ট ইমপেক্স কোম্পানীর মালিক হিসবে এই অনুজ কুমার শ্রীবাস্তবের অ্যাকাউন্ট থেকে এই অর্থ ব্যয় হয়েছে। বিস্মিত অনুজ কুমার শ্রীবাস্তব এরপরে এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে সাথে নিয়ে ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে খোঁজ খবর করে জানতে পারলেন যে তাঁর প্যান কার্ড ও ভোটার কার্ডের ফোটোকপি ব্যবহার করে ওই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে শুধুমাত্র তাঁর এবং ঐ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের সই আলাদা। এরপরেই অনুজ কুমার শ্রীবাস্তব সম্পূর্ণ ঘটনার কথা জানিয়ে দিল্লী পুলিশ ও ইডির কাছে অভিযোগ জানান। কিন্তু এখনও অবধি ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। মাঝখান থেকে আয়কর বিভাগ বিশাল অঙ্কের টাকা কেটে নেয়। অনুজ কুমার শ্রীবাস্তব তাঁর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের মাধ্যমে জানতে পারেন ১৩টি ভুয়ো সংস্থা তাঁর প্যানকার্ড ব্যবহার করে তাঁকে ডিরেক্টর হিসেবে দেখিয়ে জালিয়াতি করছে। প্রতারিত এই যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩১ শে জুলাই দিল্লী কোর্ট, দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইং-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বলা হয়েছে আগামী ১ লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে হবে। অনুজ কুমার শ্রীবাস্তবের আশা এবার হয়ত আয়কর দফতর এই প্রসঙ্গে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারবে। আপনার মতামত জানান -