এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাঁকুড়ায় গেরুয়া মাটিতে পদের দাবিদার একাধিক! গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ তীব্র হওয়ার আশঙ্কায় বিজেপি

বাঁকুড়ায় গেরুয়া মাটিতে পদের দাবিদার একাধিক! গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ তীব্র হওয়ার আশঙ্কায় বিজেপি


 

লোকসভায় লাল মাটিতে বিজেপি পদ্ম ফোটাতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু দল সাফল্য পাওয়ার পরই বিজেপির অন্দরে পদ পাওয়া নিয়ে যেভাবে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তাতে গেরুয়া শিবির কতটা কুসুমাস্তীর্ণ পথে চলতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে। জানা গেছে, শারদ উৎসবের আগেই বাঁকুড়া জেলায় বুথ সভাপতি এবং শক্তি কেন্দ্রের নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। চলতি মাসের প্রথম থেকে মন্ডলস্তরের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এখানে।

বস্তুত, এই জেলায় বিজেপির মোট 26 টি মন্ডল রয়েছে। যেখানে দুটি মন্ডলে নির্বাচন হচ্ছে না। কারন ইন্দপুর 1 এবং বাঁকুড়া নগর মন্ডল অনেকটাই বড়। তাই সেটি ভেঙে দুটি ভাগে ভাগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখানকার কুড়িটি মন্ডলের সভাপতি নির্বাচনের জন্য একাধিক আবেদনপত্র জমা পড়ায় এখন তৈরি হয়েছে সমস্যা।

বস্তুত, বিজেপিতে একপদে কোনো কর্মী 6 বছরের বেশি থাকতে পারেন না। ফলে বর্তমান মন্ডল সভাপতির আবেদন যেমন বাতিল হবে, ঠিক তেমনই আবেদনকারীদের মধ্যে খুব কম অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নামও সেখান থেকে বাদ পড়বে বলে মনে করছে একাংশ। জানা গেছে, বাঁকুড়া জেলার ছাতনা 1 মন্ডলে 21 জন এই মন্ডল সভাপতি হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। যা দলীয় স্তরে প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

যেখানে নাম রয়েছে, এই মন্ডলের বর্তমান সভাপতি অশোক বিট, বর্তমান সহ-সভাপতি জীবন মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক উদিতেন্দু সেনগুপ্ত, কমল নায়ের, দিলীপ মুরমু, উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুপ ঘোষাল সহ একাধিক বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীর। আর একটি পদে এতগুলো মন্ডল সভাপতির আবেদন জমা পড়ায় এখন চোখ কপালে উঠছে বিজেপি নেতৃত্বের। তবে শুধু ছাতনা নয়, মেজিয়া মন্ডলে 10 টি, ছাতনা 2 মন্ডলে চারটি, খাতরা মন্ডলে পাঁচটি আবেদনপত্র জমা পড়েছে বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এইভাবে চলতে থাকলে কি দলের সংগঠন বৃদ্ধি হবে! উল্টে তো জটিলতা বৃদ্ধি পাবে? এদিন এই প্রসঙ্গে ছাতনা মন্ডলের বর্তমান সভাপতি অশোক বিট বলেন, “কর্মীদের চাপে আমি মনোনয়নপত্র জমা দিলেও আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হবে‌। আমার জায়গায় দল যাকে দায়িত্ব দেবে, তাকে নিয়েই আমি আগামী দিনে কাজ করব।” এদিকে একটি মন্ডল সভাপতির জন্য একাধিক আবেদনপত্র জমা পড়ায় কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব।

এদিন এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিবেকানন্দ মহাপাত্র বলেন, “নির্বাচনে যে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিতেই পারে। কিন্তু দায়িত্ব কে পাবেন, তা দলে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা চূড়ান্ত করবেন। এক্ষেত্রে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তাই মেনে নেব।” তবে যে যাই মন্তব্য করুন না কেন, শেষ পর্যন্ত কে মন্ডল সভাপতি পান এবং সেই মন্ডল সভাপতি আদৌ সবাইকে নিয়ে চলতে পারেন, নাকি শুরু হয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!