প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার দোরগোড়ায় এখন একুশের মসনদ দখলের লড়াই। আর সেই রাজনৈতিক যুদ্ধের প্রস্তুতি এখন বাংলার প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অন্দরে। যুদ্ধে জেতার প্রস্তুতি নিয়ে এখন যাবতীয় ঘুঁটি সাজানোর কাজ চলছে বিভিন্ন দলের। রাজনৈতিক শক্তিগুলির এখন একটাই লক্ষ্য, কিভাবে অন্য দলকে পরাজিত করবে ? একে অপরকে মাত দেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে প্রত্যেকেই। নিজেদের শক্তি বাড়াতে মেতে উঠেছে বর্তমানে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরই।

2019 এর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দেখা গেছে, জঙ্গলমহলে উন্নয়নের ধারাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে গেরুয়া শিবির। জঙ্গলমহল থেকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে তৃণমূল। এই অবস্থায় শাসকদল জঙ্গলমহলে দিকে আবার নতুন করে নজর দিয়েছে এলাকা পুনর্দখলের জন্য। কিন্তু তাতে বিশেষ কিছু হেরফের হচ্ছেনা। কারণ সম্প্রতি জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকা এবং হাওড়া হুগলি থেকেও দলে দলে মানুষ এসে যোগদান করছেন বিজেপিতে বলে দাবী করা হচ্ছে।

সম্প্রতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাঁকুড়ায় 500 জন তৃণমূল কর্মী এবং এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুমিত্রা সিংহ দেব যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এছাড়াও পুরুলিয়ার সাংগঠনিক জেলা পারা বিধানসভায় গেরুয়া শিবিরকে জোরদার করতে 26 টি পরিবার থেকে মোট 120 জন তৃণমূল এবং সিপিএম ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে পুরুলিয়ার সাংগঠনিক জেলার রঘুনাথপুর বিধানসভাতেও একই ভাবে 75 টি পরিবার থেকে মোট 365 জন সমর্থক এদিন যোগ দিলেন তৃণমূল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টিতে। শুধু বাঁকুড়া,পুরুলিয়াতেই নয়, দলবদলের ধারা অব্যাহত হুগলী জেলাতেও।

সম্প্রতি হুগলির সাংগঠনিক জেলার বলাগড় বিধানসভায় তৃণমূল ও সিপিএমের 700 জন কর্মী গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। অন্যদিকে হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলা উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভায় 75 টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিশেষজ্ঞদের মতে, গেরুয়া শিবিরের দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে একুশে নির্বাচনের আগেই গেরুয়া শিবির কয়েক কদম এগিয়ে গেল। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, যেভাবে অন্যান্য দল থেকে গেরুয়া শিবিরে লোক যাচ্ছে, তাতে গেরুয়া শিবিরের শক্তি যে ক্রমেই বাড়ছে তাতে কোনো সন্দেহই নেই।