এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাঁকুড়ার সভায় গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী, জেনে নিন

বাঁকুড়ার সভায় গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্য লড়াই দেখা যাচ্ছে মূলত তৃণমূল বনাম বিজেপির। বা বলা ভাল মোদী ভার্সেস মমতা। রাজ্যের মসনদ দখল করতে এবার মরিয়া গেরুয়া শিবির। রাজ্যজুড়ে প্রচার চালাচ্ছে তাঁরা। এমনকি কেন্দ্র থেকে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত দফায় দফায় বাংলায় আসছেন ক্ষমতার দখলের উদ্দেশ্যে। অন্যদিকে 10 বছরের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল এত সহজে ক্ষমতার দখল ছাড়তে নারাজ।

 ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম থেকে এবারের লড়াইতে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নন্দীগ্রামের প্রচারে গিয়ে আহত হন তৃণমূল নেত্রী। তাই নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে এখনো। এই অবস্থাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুইল চেয়ারে বসেই প্রচার শুরু করেছেন।আর হুইলচেয়ারে প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে একটাই কথা, তাঁর একটি পা জখম হলেও কোনো চিন্তা নেই। বাংলার মানুষের পায়ের ওপর ভর করেই তিনি লড়াই করবেন। 

সোমবার বাঁকুড়ায় তিনটি সভা করেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যথারীতি প্রতিটি সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। গ্যাস-পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি থেকে শুরু করে দেশজুড়ে মূল্যবৃদ্ধি সহ কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের বিরোধিতা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরও তৃণমূল সরকার এবার সাধারণ মানুষের জন্য কি কি করবে, তার একটি চিত্র তুলে ধরেন সভায় উপস্থিত মানুষের সামনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইসাথে নিজের পায়ে চোট নিয়েও এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি বহুবার আক্রান্ত হয়েছেন। এবার তাঁর পায়ে আঘাত লেগেছে। তবে তাঁর একটা পা আঘাতগ্রস্থ হলেও চিন্তা নেই। কারণ বাংলার মা-বোনেদের দুপায়ের ভরসায় তিনি মনের জোরে লড়বেন। পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে বারংবার সাবধান করে বলেন, বিজেপি বিভিন্ন কথা বলছে প্রচারে এসে। কিন্তু যদি ক্ষমতায় আসে গেরুয়া শিবির, তাহলে বাংলার মানুষের দুর্দশার শেষ থাকবে না। 

প্রসঙ্গত গত কালই গেরুয়া শিবিরের ইস্তেহার প্রকাশ পেয়েছে। আর সেখানেই বিজেপির পক্ষ থেকে একের পর এক ধামাকাদার ঘোষণা হয়েছে।স্পষ্টতই মনে করা হচ্ছে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরের ইস্তেহারের দিকে লক্ষ্য রেখেই আজ বাংলার মানুষকে সাবধান করলেন। সবমিলিয়ে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট যত সামনে আসছে, ততই প্রচারে ঝাঁজ বাড়াচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী।

 আহত পা নিয়ে তিনি এক বিন্দু লড়াই ছাড়তে নারাজ। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় তিনি হুইল চেয়ারে করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যদিও তার চেয়ারে বসে ভোট চাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই নানান কটাক্ষ শুরু হয়েছে। অনেকেই তৃণমূল নেত্রীর আহত হওয়ার ঘটনা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তবে শেষে একথা বলতেই হবে, সব ভালো যার শেষ ভালো। তাই এখন দেখার, শেষ হাসি কে হাসে!

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!