এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বারবার কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে আসেনি জবাব, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংসের অভিযোগ তৃণমূলের

বারবার কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে আসেনি জবাব, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংসের অভিযোগ তৃণমূলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নতুন সরকার গঠনের পর গত দেড় মাস সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বহু চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, এই চিঠিগুলোর কোন উত্তর এখনো পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি। এমনকি এই চিঠিগুলো পেয়েছেন বলে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি। এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংসের অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।

মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো এই চিঠিগুলোর কেন জবাব দেয়া হয়নি? সে বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো বক্তব্য রাখা হয়নি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের পক্ষ থেকে চিঠিগুলির প্রাপ্তির কথাও বলা হয়নি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার। তৃণমূলের অভিযোগ, নির্বাচনের পরাজয় মেনে নিতে পারছে না বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী বারবার রাজ্যে এলেও বিজেপি ১০০ টি আসনেও জিততে পারেনি। বিজেপি এবার আক্রোশ মেটাচ্ছে প্রশাসনিক কাজকর্মে। বিজেপি ভোট রাজনীতি করতে গিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নষ্ট করেছে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী।

গত দেড় মাস সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে নটি চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম চিঠি দিয়েছিলেন তিনি ৫ ই মে। এই চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যে ভ্যাকসিন, রেমডিসিভি, করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনে ব্যবহৃত দ্রব্য, অক্সিজেন, সিলিন্ডার যোগান বৃদ্ধির আর্জি জানিয়ে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে আবার তিনি চিঠি দিয়েছিলেন ৬ ই মে। যে চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনার বকেয়া টাকা রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর গত ৭ ই মে করোনা সংকটকালে রাজ্যে অক্সিজেনের যোগান বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর গত ৯ ই মে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন যে, করোনার সংক্রমণ কালে বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্সিজেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার, কনসেনট্রেটর, ক্রায়োজেনিক ট্যাংক, ঔষধ সরকারকে দান করতে চাইছে। এই সমস্ত বিষয়ের ওপর কর প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।

গত ১২ ই মে প্রধানমন্ত্রীকে আরেকটি চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে চিঠিতে তিনি বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আমদানির আর্জি জানিয়ে ছিলেন। এছাড়া ভ্যাকসিন কারখানা নির্মাণের জন্য রাজ্যের জমি দেবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। এরপর গত ১৪ ই মে মুখ্যমন্ত্রী আবার চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য ৭০ টি অক্সিজেন প্লান্ট বরাদ্দ করা হয়েছে, কিন্তু ৪ টি এসেছে, এতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন তিনি।

এরপর গত ২০শে মে আবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যে চিঠিতে তিনি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের অবিলম্বে ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। এর জন্য অন্তত কুড়ি লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন রাজ্যে পাঠাবার দাবি করেছিলেন তিনি। এরপর ৩১ শে  মে আবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলির বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, এই বদলি আইন বিরোধী ও নজিরবিহীন ঘটনা। অসাংবিধানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি করেন তিনি। আবার এতেই কলাইকুন্ডাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়েও লিখেছিলেন তিনি।

এরপর, গত ২৪ সে জুন শেষবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে। যে চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশে তৈরি কোভ্যাকসিন টিকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দেয় নি। যার ফলে বিদেশে পড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে বহু পড়ুয়া। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। এই চিঠি গুলির মধ্যে কোন চিঠিরই এখনো পর্যন্ত জবাব আসেনি। যার ফলে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ তৃণমূল। কেন এই চিঠিগুলোর জবাব দেয়া হয়নি? তা এখনো জানানো হয়নি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!