এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি মিললেই বারাণসীর মহিমা তুলে আনা হবে তারাপীঠে – শুরু সংস্কারের কাজ

মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি মিললেই বারাণসীর মহিমা তুলে আনা হবে তারাপীঠে – শুরু সংস্কারের কাজ


বিশ্ববিখ্যাত বারানসীর দশাশ্বমেধ ঘাটের গঙ্গা আরতির ক্ষুদ্র সংস্করণের দেখা মিলবে এবার তারাপীঠেও। তারামায়ের মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা দ্বারকা নদেও গঙ্গা আরতির নিয়ম মেনেই করা হবে দ্বারকা আরতি। ধর্মীয় রীতি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে খুব শীঘ্রই প্রস্তাবটি নবান্নে পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর চূড়ান্ত সম্মতির জন্য। এমনটাই জানা গিয়েছে, তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে।

ইতিমধ্যে আরতির জন্য দ্বারকা নদের ঘাটগুলির সংস্করণের কাজও জোরকদমে শুরু করে দিয়েছে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন সংস্থা (টিআরডিএ)। বিশ্ববাংলা লোগো সহ বিশ্ববাংলা ঘাট গড়ে তোলা হবে এখানে সম্পূর্ণ দীঘার অনুকরণেই। শুধু তাই নয়,মুন্ডমালিনী ঘাট এবং বামদেব ঘাট সংস্কার করে বসার জায়গা তৈরি করা হবে দর্শনার্থীদের জন্য। গোটা চত্বরটাই মুড়ে ফেলা হবে আলোর রোশনাইতে। তার জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডারও ডাকা হয়ে গিয়েছে। দীপাবলির পরেই সে কাজে হাত দেওয়া হবে। একইসঙ্গে সাধক বামাক্ষ্যাপার স্মৃতি বিজড়িত বামদেবের ঘাটও সংস্কার এবং সৌন্দর্যায়নের জন্য ডিপিআরও প্রস্তুত রয়েছে। উন্নয়ণের এই কর্মযজ্ঞে সহয়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মন্দির কমিটিও। দ্বারকা নদের চরের রূপে আসবে নতুন পরিবর্তন।

বারানসীর আদলে দ্বারকা নদের সন্ধ্যারতিকে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ বলেই ব্যাখ্যা করলেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আশ্বাস দিলেন প্রয়োজনে সবরকম সহায়তা করার। গঙ্গা আরতি দেখতে যেমন বহু দর্শনার্থীরা ভীড় জমান,সেই একই ভীড় জমায়েত হবে এবার তারাপীঠেও। তারাপীঠেও পাশ দিয়ে বয়ে চলা দ্বারকা নদে আরতি হবে। তার জন্যেই ঘাটকে সুসজ্জিত করা হচ্ছে৷ যাতে নৌকা বিহার করতে করতেও আরতি দেখা যায়, সে পরিকল্পনাও করা হচ্ছে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে। তাঁদের মতে,তারামায়ের সঙ্গে জড়িত দ্বারকা নদ। কালে কালে ঋষি বশিষ্ট থেকে জয়দত্ত সদাগর, সাধক বামদেব সকলের নানা মহিমার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে এই নদের। তাই এবার সেই নদের বন্দনা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে টিআরডিএ। তাই পরিকল্পনা মাফিক তারাপীঠে দ্বারকার ঘাটগুলি সংস্থার ও সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করেছে সংস্থা।

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো  করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক

অন্যদিকে,দীঘার আদলেই বিশ্ববাংলার লোগো সম্বলিত বিশ্ববাংলা ঘাট গড়ে তোলা হচ্ছে দ্বারকা নদে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। সেখানে থাকবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা এবং ঘাটে বসার জায়গা। তবে কেন এতোদিন পর বারানসী ঘাটের গঙ্গা আরতির আদলে দ্বারকা নদের আরতির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? এ প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে থেকেই যায়। কারণ, রাজ্যের কোনো নদনদীকে কেন্দ্র করে বারানসীর মতো প্রতিদিন আরতি করা হয় না। তাই নয়া পরিকল্পনা করা হয়েছে তারামায়ের মন্দির পাশে বয়ে চলা দ্বারকা নদীর সন্ধ্যা আরতির। একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে তারাপীঠ। এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ণ হলে মুখ্যমন্ত্রীর মুকুটে আরো একটি গৌরবের পালক যুক্ত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অপরিচ্ছন্নতা এবং দূষণ নিয়ে পরিবেশ আদালতে দীর্ঘদিন মামলা চলেছে দ্বারকা নদ নিয়ে। এবার সেই নদের ঘাটই নতুনভাবে সুসজ্জিত হতে চলেছে। এই নদের বক্ষেই নৌকা চড়ে দর্শনাথীরা দেখতে চলেছেন সন্ধ্যারতি,যা তাঁদেট একটি বাড়তি পাওয়া হিসাবেও গন্য হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!