প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে এখনো পর্যন্ত চলছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তবে বাদল অধিবেশন শুরু হতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে একাধিক বিরোধী শিবির। বিরোধীদের প্রবল প্রতিবাদ ও চিৎকারে বারবার মুলতুবি হয়ে যাচ্ছে সংসদের অধিবেশন। অধিবেশনে যতটা কাজ করার কথা ছিল, তার থেকে অনেক কম কাজ হতে পেরেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিরোধীদের এমন কার্যকলাপের কারণে কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশের সাধারণ করদাতারা। এবার বিরোধী নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে রাজ্যসভায়।

গতকাল উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সাংসদ পীযূষ গোয়েল সহ একাধিক সাংসদেরা। বিরোধী নেতা-নেত্রীদের প্রতি একের পর এক অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, সংসদের কাজকর্মে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে। বারবার সংসদকে অচল করে দেয়া হচ্ছে। তাঁদের কাছ থেকে অভিযোগ পাবার পর এবার বিরোধীদের প্রতি কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে যে, বাদল অধিবেশনে একটা দিনের জন্যও স্বাভাবিকভাবে কাজ করা সম্ভব হয়নি সংসদের উভয় কক্ষে। ইতিপূর্বে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বাদল অধিবেশন থেকে। এরপর সাসপেন্ড করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, নাদিমুল হক,শান্তা ছেত্রী, অর্পিতা ঘোষকে। তাঁদের বিরুদ্ধে সংসদ অচল করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এবার সংসদ অচল করে দেওয়ার অভিযোগে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারেন বেঙ্কাইয়া নাইডু, এমন সম্ভাবনা যথেষ্টই রয়েছে। যারফলে বিপাকে পড়তে পারেন বিরোধী সাংসদেরা।