এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বাড়ছে দল, নবাগতদের নিয়ে কড়া অবস্থান নিতেই বিজেপির বিদ্রোহ উধাও! সুর নরম প্রভাবশালী নেতাদের

বাড়ছে দল, নবাগতদের নিয়ে কড়া অবস্থান নিতেই বিজেপির বিদ্রোহ উধাও! সুর নরম প্রভাবশালী নেতাদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে সমস্ত নেতারা তাদের ওপর আক্রমণ করেছিলেন, এখন তারাই তাদের দলে যোগ দিতে শুরু করেছেন। যার ফলে বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীরা সেই নতুনদের আগমনে ক্ষুব্ধ। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন এবং পুরনো কর্মীদের মধ্যে যদি বিজেপি সামঞ্জস্য বজায় রাখতে না পারে, তাহলে তারা কিভাবে আগামী দিনে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বড় প্রশ্ন।

এদিকে তৃণমূল থেকে আগতদের নিয়ে এবার সুর নরম করতে দেখা গেল আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 19 ডিসেম্বর মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান দশরথ তিরকি, আলিপুরদুয়ার পৌরসভার তৃণমূলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্ত এবং জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ মজুমদার।

আর সেই সময়ই আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদবাবু জানিয়ে দেন, যারা বাইরে গিয়ে রাজনীতি করছেন, তাদের বাইরে থেকেই রাজনীতি করতে হবে। অর্থাৎ তারা যে তৃণমূল থেকে যোগদানকারী এই সমস্ত নেতাদের কোনো মতেই মেনে নেবেন না, তা বুঝিয়ে দেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। আর এর পরেই তার এই বক্তব্য নিয়ে রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় বিজেপির অন্দরমহলে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, দলের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাকে এই ধরনের বক্তব্যের জন্য শোকজ করা হয়। আর এর পরেই তৃণমূল থেকে আগত নেতাদের নিয়ে এবার সুর নরম করতে দেখা গেল সেই গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে।

সূত্রের খবর, শুক্রবার দলীয় নেতৃত্বের কাছে শোকজের উত্তর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গঙ্গাপ্রসাদবাবু। পাশাপাশি যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, দু-একদিনের মধ্যেই তাদের জেলা পার্টি অফিসে ডেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ রাজ্য নেতৃত্বের চোখে ভালো হতে এবং দলকে জেলায় ভালো করে পরিচালনা করতেই যে গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা এই ধরনের উদ্যোগ নিলেন, তা বলাই যায়।

একাংশ বলছেন, আসলে চাপে পড়েই গঙ্গাপ্রসাদবাবু এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কেননা যদি তিনি সকলকে নিয়ে চলতে না পারেন, তাহলে দলের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারত। আর তাই পরিস্থিতি অনুভব করে দলকে শোকজের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি যাদের নিয়ে তার আপত্তি ছিল, তাদের ব্যাপারে সুর নরম করতে দেখা গেল তাকে।

জানা যায়, এদিন শহরের দমকল মোড়ে বিজেপির জেলা অফিসে দুপুর থেকে একটি বৈঠক শুরু হয়। যেখানে নবাগতদের বিজেপিতে যোগদান করার বিরোধিতা করার জন্য দলের অনেক নেতা কর্মীরা তাদের দাবি জানাতে শুরু করেন। এদিকে সন্ধ্যায় সেই সরাসরি বৈঠকের পর যে সমস্ত তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাদের প্রতি সুর নরম করতে দেখা যায় গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “বৈঠকে আমাকে দলের শোকজ করা বা সেই শোকজের উত্তর দেওয়ার বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এদিনের বৈঠকে দলের সাংগঠনিক এবং আগামী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, দুই একদিনের মধ্যেই তৃণমূল থেকে আসা নবাগতদের জেলা অফিসে ডেকে দলের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

শুক্রবার দলের নেতৃত্বের কাছে শোকজের উত্তর পাঠাব।” একাংশ বলছেন, গঙ্গাপ্রসাদবাবু যেভাবে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন, তাতে তার অনুগামীরাও সেই পথে হাঁটতে শুরু করেছিলেন। যার ফলে দলের শৃঙ্খলা কিছুটা হলেও নষ্ট হয়েছিল। আর তারপরেই রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না করতেই গোটা বিষয়ে সুর নরম করতে দেখা গেল সেই গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে।

যেখানে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সেই নবাগত নেতাদের জেলা অফিসে ডেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। অর্থাৎ রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে গঙ্গাপ্রসাদবাবুকে অতীতের বিরোধীতা থেকে সরে এসে দলকে শৃঙ্খলা পরায়ন করার বার্তা দিতে হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!