এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বাড়ছে ক্ষোভ, একের পর এক বিধায়কের বিদ্রোহ, ক্রমশ কঠিন হচ্ছে ২০২১, ফায়দা তুলবে বিজেপি ?

বাড়ছে ক্ষোভ, একের পর এক বিধায়কের বিদ্রোহ, ক্রমশ কঠিন হচ্ছে ২০২১, ফায়দা তুলবে বিজেপি ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলে একের পর এক বিক্ষুদ্ধ বিধায়কের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। সম্প্রতি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তলানীতে থেকেছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। জেলার নতুন কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা নেন তিনি। ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত দলের প্রতি একাধিক বিষেদাগার করেছেন। বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এবার হুগলি জেলায় তৃণমূলের নয়া কমিটি গঠনের পর দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই তথা তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।

একের পর এক বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করায় ক্রমশই বিপাকে পড়ছে শাসকদল তৃণমূল। আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যা দলের প্রতি অশনিসংকেত হয়ে দেখা দিচ্ছে। পরিবহন ও সেচ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দলের বিভিন্ন সভাতে অনুপস্থিত থাকছেন, তার পরিবর্তে দলহীন গণসংযোগ চালাচ্ছেন। তাঁর অনুগামীরা জেলায় জেলায় তাঁর নামে পোস্টার দিতে শুরু করেছে। শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ছে নানা জল্পনা।

এদিকে কোচবিহার জেলায় নতুন কমিটি গঠনের পর কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। এমনকি বিধায়ক পদটিও তিনি ছেড়ে দিতে পারেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সপ্তাহখানেক আগে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। কিন্তু এড়িয়ে গেলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রীকে। এই দুই মন্ত্রী তাঁর বাড়িতে গিয়েও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি।

আবার, দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। বিজয়া সম্মেলনের অনুষ্ঠান মঞ্চে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার বিরুদ্ধে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না বলে জানিয়েছেন তিনি। বাংলার সংস্কৃতির বিরোধী ও জাতপাতের রাজনীতি করতে চায় বলে পিকের দলের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ। দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, ” আর পারছি না ” পিকের সংস্থার বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, ” একটা বাজারি কোম্পানি টাকা নিয়ে ভোট করাতে আসছে। তারা আমাকে বলছে আপনাকে ভোট নিয়ে ভাবতে হবে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি গতকাল রবিবার হুগলি জেলার নতুন জেলা কমিটি গঠনের পর থেকে দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই তথা বর্ষিয়ান তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। এমনকি দলত্যাগের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। এদিকে আগামীকাল ১০ ই নভেম্বর নন্দীগ্রামে জনসভা করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দুশ্চিন্তা ও অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদল তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে দলত্যাগের হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য।

যে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম একসময় বাম সাম্রাজ্যের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল, সেই নন্দীগ্রামে জনসভা করতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।তাঁর এই কর্মসূচিতে দলের পতাকা, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কিছুই নেই। এই অবস্থায় সিঙ্গুরের বিধায়ক ত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিকে গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে হুগলির বেশকিছু বিধানসভা আসনে তৃণমূলকে পেছনে ফেলে দিয়েছিল বিজেপি। সম্প্রতি হুগলি জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজনৈতিকভাবে সুবিধা পেতে চলেছে বিজেপি।

ব্লক সভাপতিকে অপসারণের তীব্র নিন্দা করেছেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য। এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে দল বদলের বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করবেন তিনি জানিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ” এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে দল বদলে ভিন্ন দলে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করতে হবে। আমার ক্ষোভের কারণ, দুর্নীতিতে যুক্তরা আজ দল পরিচালনার দায়িত্বে, আর আমরা যাঁরা দুর্নীতিতে নেই তাঁদের অপমান, অবহেলা, বঞ্চনা করে তাড়িয়ে দেওয়া হলো! আমার এখানকার সভাপতিকে সরানো মানছি না। দল আমাকে টিকিট দিলেও আমাকে বাধা দেওয়া হবে, ব্যর্থ প্রমাণ করে হারানোর চক্রান্ত হবে, অপমান করা হবে। যা অতীতেও হয়েছে। তাই প্রয়োজনে দল পরিবর্তন করতে হলে তা-ই করব।” এই সবকিছু নিয়ে বেজায় দুশ্চিন্তায় তৃণমূল, অন্যদিকে হাসি চওড়া হচ্ছে বিজেপির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!