এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বাড়ছে গেরুয়া দাপট? বিজেপির আতঙ্কে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা দেড় বছর কাজেই যোগ দিতে পারলেন না!

বাড়ছে গেরুয়া দাপট? বিজেপির আতঙ্কে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা দেড় বছর কাজেই যোগ দিতে পারলেন না!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্য ক্রমশ তাদের প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পর সেই এলাকাগুলোতে তারা নতুন করে বিস্তার লাভ করতে শুরু করেছে। যার ফলস্বরুপ 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল পরিচালিত এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তার অফিসে ঢুকতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছিল।

তবে প্রায় দেড় বছর পর সোমবার নিজের পঞ্চায়েত অফিসে প্রবেশ করতে পারলেন মাথাভাঙ্গা 1 ব্লকের নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহেশচন্দ্র বর্মন। বলা বাহুল্য, লোকসভায় বিজেপির জয়লাভের পর গেরুয়া শিবিরের দাপটে তিনি এই অফিসে আসতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। তবে অবশেষে সোমবার অফিসে আবার নতুন করে বসতে শুরু করলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান।

কিন্তু কেন এত দিন অফিসে আসতে পারেননি তিনি? যেখানে রাজ্যের শাসক দলের ক্ষমতায় তারা রয়েছেন, পঞ্চায়েতে তারা ক্ষমতায় রয়েছেন, সেখানে বিজেপির দাপটের কারনে শুধুমাত্র তার অফিসে আসা বন্ধ হল কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই পঞ্চায়েত প্রধান মহেশচন্দ্র বর্মন বলেন, “বাড়িতে ওরা হামলা চালিয়েছিল। ওদের বাধাতেই আসতে পারিনি।” প্রসঙ্গত, মাঝেমধ্যেই নয়ারহাটের বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করেছিল।

ফলে সেখানে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তাই এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত অফিসে দীর্ঘদিন ধরে বেপাত্তা ছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। তবে অবশেষে সোমবার নিজের অফিসে এসে এতদিন অফিসে না আসার কারণ হিসেবে বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন তিনি। যার ফলে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি বিজেপির প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে! আর তাই কার্যত বিজেপির দাপটে পিছু হটে এতদিন এই পঞ্চায়েত অফিসে আসা থেকে বিরত ছিলেন তৃণমূলের এই জনপ্রতিনিধি!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শীতলকুচির তৃণমূল বিধায়ক হিতেন বর্মন। তিনি বলেন, “নয়ারহাট পঞ্চায়েত এলাকায় গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি অরাজকতা তৈরি করে রেখেছে। ওরা একসময় পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর করেছে। অফিসের কর্মচারীদের মারধর করেছে। অশান্তির কারণেই প্রধান অফিসে যাচ্ছিলেন না। পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ায় প্রধান এদিন অফিসে গিয়েছেন।” যদিও বা তৃণমূলের অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন বলেন, “গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল এলাকা দখলের নামে বোমা বন্দুকের রাজনীতি করেছে। বারবার দুষ্কৃতীরা এলাকা উত্তপ্ত করেছে। প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। গ্রামের খেটেখাওয়া লোকজনকে জবাব দেওয়ার ভয়ে প্রধান এতদিন অফিসে আসেননি। আমাদের কর্মীরা কখনই প্রধানকে অফিসে ঢুকতে বাধা দেয়নি। এখন মানুষ ওনার কাছে জবাব চাইবে।”

তবে যে যাই বলুক না কেন, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, বিজেপি ক্রমশ তাদের প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছে। আর যার কারণে সেই বিজেপি ভয়ে ভীত হয়ে তৃণমূলের প্রধান পঞ্চায়েত অফিসে আসা থেকে এতদিন বিরত ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির দাপট বাড়ার কারণে এখন কি ভয় রয়েছেন তৃণমূলের কর্মীরা? নয়ারহাটের এই ঘটনা কিন্তু এই সমস্ত প্রশ্নই তুলে দিতে শুরু করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!