এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > বিতর্কে বর্ধমান – মেয়াদ শেষের আগের দিন বিতর্ক বাড়িয়ে পাস হয়ে গেল অগুনতি বিল্ডিং প্ল্যান

বিতর্কে বর্ধমান – মেয়াদ শেষের আগের দিন বিতর্ক বাড়িয়ে পাস হয়ে গেল অগুনতি বিল্ডিং প্ল্যান

মেয়াদ শেষ হলেও অফিসের মায়া ছাড়তে পারছেন না বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 22 অক্টোবর এই বর্ধমান পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও চেয়ারম্যানের সীলমোহর দেওয়া গাড়ি নিয়েই সেখানে আসতে দেখা যায় পুর চেয়ারম্যান স্বরূপ দত্ত এবং এই পুরসভারই এমসিআইসি খোকন দাসকে। এই ঘটনাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম বিতর্ক।

অভিযোগ, পুরসভার চেয়ারম্যান আসার পরই সেখানে উপস্থিত হন বেশ কিছু প্ল্যান মেকার। আর এই প্ল্যান মেকারদের নিয়েই হয়েছে প্ল্যান সংক্রান্ত অনেক কাজ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 11, 12 ই অক্টোবর এই পুরসভায় চল্লিশটিরও বেশি বহুতল নির্মাণের জন্য প্ল্যান পাস হয়েছে। কিন্তু যেখানে এক দিনে 3-4 টির বেশি প্ল্যান পাশ হয় না সেখানে চল্লিশটিরও বেশি প্ল্যান পাস হওয়ায় তাজ্জব বনেছেন অনেকেই। আর এই প্রশ্ন ঘিরে যখন উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বর্ধমান পুরসভায়, ঠিক তখনই চেয়ারম্যান ও এমসিআইসির সমন্বয়ে প্ল্যান মেকারদের নিয়ে এক বৈঠকে চাড়া দিয়েছে এক নতুন বিতর্ক।

মেয়াদ শেষের পরও এভাবে পুরসভায় ঢুকে নিজের অফিসে বসে কি বৈঠক করা যায়? এদিন এ প্রসঙ্গে বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান স্বরূপ দত্ত বলেন, “শুক্রবার মহকুমাশাসক দায়িত্বভার হস্তান্তর করবেন। তাই পুরসভায় এইদিনই আমার শেষ। ছুটির দিনের জরুরি বিভাগে কর্মীরা কাজ করছেন, তাই তাদের পিঠ চাপরে দিলে তারাও অনেকটা খুশি হয়।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু চেয়ারম্যান ঢোকার পড়েই কেন প্ল্যান মেকারদের দেখা গেল সেখানে? এদিন এ প্রসঙ্গে এই বর্ধমান পুরসভার ই চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সদস্য খোকন দাস বলেন, “প্ল্যান মেকাররা এলেও কোন প্ল্যান পাস হয়নি। প্ল্যানের টাকা জমা পড়ার পর কিছু কাজ বাকি থাকে সে সবই হয়েছে।” কিন্তু মেয়াদ শেষের পর এইভাবে পুরসভায় আসা যায় না বলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই বর্ধমান পুরসভারই ভাইস চেয়ারম্যান তথা প্ল্যান বিভাগের এমসিআইসি খন্দেকর মহম্মদ শহিদুল্লাহ। সব মিলিয়ে শেষের দিনেও বিতর্ক অব্যাহত বর্ধমান পৌরসভায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!