এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > বর্ধমানে স্টেশন ভেঙে পড়ার পর দেখা নেই সংসদে, ক্ষোভ বাড়ছে জেলায়

বর্ধমানে স্টেশন ভেঙে পড়ার পর দেখা নেই সংসদে, ক্ষোভ বাড়ছে জেলায়


 

ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু ভোটে জিতে নেতা-মন্ত্রী হয়ে গেলেই সেই সমস্ত ব্যক্তিদের আর দেখা পাওয়া যায় না বলে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে। ইতিপূর্বে বিগত দিনে দার্জিলিংয়ের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে দেখতে না পেয়ে তার নামে নিখোঁজ ডায়েরি করতে দেখা গিয়েছিল বাসিন্দাদের‌। এমনকি সদ্যসমাপ্ত 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান- দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে বিজেপির প্রার্থী করা হলে তাকে না দেখতে পাওয়ার অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। তবে তা সত্ত্বেও নির্বাচনে জয়যুক্ত হন তিনি। বর্তমানে তিনি বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ।

কিন্তু বিগত দিনে দার্জিলিংয়ের সাংসদ থাকার সময় তার বিরুদ্ধে এলাকার বাসিন্দাদের পাশে না থাকার অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার সেই একই অভিযোগ উঠতে শুরু করল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বর্ধমান স্টেশন ভবনের একাংশ ভেঙে পড়তে দেখা যায়। যে ঘটনার পরেই স্থানীয় তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা উদ্ধারকাজে জড়িয়ে পড়েন।

কিন্তু বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়নি সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে। আর নিজের লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে স্টেশনে দুর্ঘটনা ঘটলেও, কেন সেই উদ্ধারকাজে থাকলেন না বিজেপি সাংসদ! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, “তিন দিন হয়ে গেল, এত বড় ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি এলাকার সাংসদ। আসলে ব্যর্থতায় যে সরকারেরও দায় আছে, তা তিনি বুঝতে পেরেছেন। আর তা বুঝতে পেরেই মুখ খুলতে লজ্জা পাচ্ছেন। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৈনিক। আমরা মানুষের পাশে আছি। এলাকার সাংসদের ঘুম ভাঙতে যে একটু দেরি হয়, তা আমরা ভালো জানি। কেন ওকে দার্জিলিঙে দল প্রার্থী করেনি, তা ভালোমতই এখানকার মানুষ বুঝতে পারছেন।”

সত্যিই তো তাই, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে এহেন দুর্ঘটনার পরেও কেন মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন না তিনি! এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া বলেন, “কয়েকদিন ধরে আমার শরীর খারাপ। প্রচন্ড জ্বরে ভুগছি। শরীর খারাপের জন্য বর্তমানে ভারত সেবাশ্রম সংঘের অনুষ্ঠানে যেতে পারিনি। ঘটনার পর থেকে রেলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। ডিআরএমকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য বলেছি। কেন স্টেশনের বিল্ডিংয়ের একাংশ ভাঙ্গল, তা বিশদে তদন্ত করে দেখার জন্য বলা হয়েছে। তৃণমূল যা করছে, সেটা সস্তার রাজনীতি। কোনো বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি আমি পছন্দ করি না।” তবে বিজেপি সাংসদ যে কথাই বলুন না কেন, দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়া যে তার উচিত ছিল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রত্যেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!