মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে বিভ্রান্তি, জমি হারাবার ভয়ে বন্ধ কৃষিকাজ রাজ্য January 19, 2018 “সিজন বর্গা”পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায় বোরো চাষে ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার মঙ্গলকোট, ভাতার, মন্তেশ্বর, বর্ধমান সদর ১নং ব্লকগুলিতে সম্প্রতি ‘বর্গা’ গুজবকে কেন্দ্র করে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে খবর। সম্প্রতি বর্ধমানে মাটি উৎসবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর এই জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে গুজব রটে ,মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একই জমিতে ৩মাস চাষ করলেই তা বর্গা হয়ে যাবে। এমনকি রটানো হয়, জমির এক চতুর্থাংশের মালিক হয়ে যাবেন ভাগচাষী। ফলে জমির মালিকরা তাদের জমি ভাগ চাষীদের থেকে ফেরত নিতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই বীজতলা হয়েগেছে ভাগচাষীদের। ফলে বিপাকে পড়েছে ভাগচাষীসহ বোরোচাষ। ভাগচাষীদের দাবি, জেলার একাংশ মালিক আমন চাষ করলেও, বেশিরভাগ মালিকই ভাগে জমি চাষে দেন। সেক্ষত্রে সেই চাষ মার খেতে বসেছে। দিনমজুররাও চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছেন।কৃষকসভার জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন আদৌ মুখ্যমন্ত্রী এই ধরণের কোনও বক্তব্য রেখেছেন কিনা সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না৷ তৃণমূল কিষাণ কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক রাজকুমার পাণ্ডে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে এটা অপপ্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক কৃষক কল্যাণে কাজ করেছেন। কৃষকরা আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। যা সিপিআইএম তাদের জামানায় কিছুই করেনি তাই সিপিএমই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জমি ফিরে পেতে এই মিথ্যা অপপ্রচার করছে। এই গুজব সম্পর্কে কৃষি দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা জগন্নাথ চট্টপাধ্যায় জানান, এই ধরণের কোনও ঘটনার কথা তিনি শোনেননি। এখনও পর্যন্ত বোরো চাষ মার খাবার মত কোনো খবরও তিনি পাননি। এই বিভ্রান্তির জেরে সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে বোরোচাষ স্বীকার করেছে ভাগচাষীদের একাংশ।এই ঘটনায় সিপিএমের কৃষকসভার পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিবৃতি দাবি করা হয়েছে।তবে এখনো পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর সংশ্লিট দফতর কথা থেকেই এই নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেন নি। আপনার মতামত জানান -