এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বাড়ি বাড়ি গিয়ে চা খাওয়ার নির্দেশ, কতটা মানা হবে করোনা বিধি, ক্ষোভ কি বাড়বে না? তৃণমূলের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন!

বাড়ি বাড়ি গিয়ে চা খাওয়ার নির্দেশ, কতটা মানা হবে করোনা বিধি, ক্ষোভ কি বাড়বে না? তৃণমূলের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  জনসংযোগ রক্ষা করতে বিজেপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় চায়ে পে চর্চার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত হতেন দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মত হেভিওয়েট নেতা নেত্রীরা। আর এবার বিজেপির দেখানো পথেই জনসংযোগের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চা খাওয়ার পরিকল্পনা নিল তৃণমূল কংগ্রেস। বস্তুত, উত্তর 24 পরগনা জেলার বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে দলের জনসংযোগ বাড়ানোর উপর সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছেন নেতারা।

ইতিমধ্যেই জেলার 33 টি বিধানসভা কেন্দ্রের বেশিরভাগ জায়গায় কর্মী সম্মেলন সেরে ফেলা হয়েছে। যেখানে কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চা খাওয়ার মধ্যে দিয়ে জনসংযোগ রক্ষা করার কথা বলেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে জনসংযোগের এই অত্যাধুনিক পদক্ষেপ তৃণমূল কংগ্রেস বেছে নেওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

সূত্রের খবর, এদিন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “কর্মীদের বলা হয়েছে, বুথে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চা খেতে। মানুষের সঙ্গে গল্প, যোগাযোগ করতে তাদের অভাব-অভিযোগ সমস্যার কথা শুনতে। একটি খাতায় সব লিখে রাখতে হবে। পরে তা জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক আসনে পরাজিত হয়েছে। যার প্রধান কারণ, এলাকায় এলাকায় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মানুষের জনসংযোগ না থাকা। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই জনসংযোগ রক্ষা করতেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বাড়ি বাড়ি গিয়ে চা খাওয়ার দাওয়াই দিলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জনসংযোগের এই ফর্মুলা দিলেও তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে বলছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূল নেতারা যদি জনসংযোগ করেন, তাহলে অনেক মানুষ তাদের কাছে ক্ষোভ উগরে দিতে পারেন। যার ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরো অস্বস্থিতে পড়তে পারে শাসকদল।

এদিকে তৃণমূলের নেতারা যদি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করতে উদ্যত হন, তাহলে করোনা ভাইরাসের সময়কালেও সামাজিক দূরত্ব বৃদ্ধি অনেকটাই বিঘ্নিত হতে পারে। যার ফলে তৃণমূলের এই জনসংযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এই সমস্ত কিছুকে মান্যতা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এখন জনসংযোগকে রক্ষা করতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তার ফলে তাদের ভোটব্যাঙ্ক কতটা শক্তিশালী হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!