এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বাড়ির বাস্তুতে সামান্য পরিবর্তন আনলেই জীবনে উপচে পড়তে পারে সুখ-শান্তি! কিভাবে? জেনে নিন

বাড়ির বাস্তুতে সামান্য পরিবর্তন আনলেই জীবনে উপচে পড়তে পারে সুখ-শান্তি! কিভাবে? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– গৃহ শান্তির আশ্রয়। দিনের শেষে তাই প্রতি প্রাণীর নিজের ঘরে ফেরার বাসনা বাসনা লক্ষ্য করা যায়। সে পাখিই হোক বা যে কোন প্রাণী। আর জীবজগতের যেহেতু সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষ, তাই তার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কিভাবে হয় বলুন তো! তাই সকলের মতোই মানুষেরও দিনের শেষে ঘরে ফেরার টান থেকেই যায়। সে যেমনি হোক, কিন্তু নিজের আশ্রয় তো। তবে সেই গৃহেই যদি শান্তির এতোটুকু আভাস না থাকে, তাহলে অশান্তি যেন আরো বেড়ে যায়। তাই প্রতিটা মানুষেরই উচিত তার নিজের বাসস্থানের প্রতি যত্নবান হওয়া। কিন্তু আজকালকার দিনে এত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখতে বেশিরভাগ মানুষই অপারগ। তবুও বাড়ির সামান্য কিছু জিনিসের পরিবর্তন আপনার জীবনকে সুখ ও সমৃদ্ধিতে পূর্ণ করে তুলতে পারে।

প্রথমত:- বাড়ি সাজাতে অনেকেই ফটো ফ্রেম ব্যবহার করেন। তবে বাড়িতে কোন ধরনের ফটোফ্রেম রাখছেন, তার উপরেই আপনার সুখ সমৃদ্ধি নির্ভর করে বলে মনে করা হয়। তাই কোনও সময়ই বাড়িতে পেঁচা কিংবা ঈগলের ছবি রাখা উচিত না। এই ছবি দেখে কোথাও বেরলে বাস্তুমতে গৃহকর্তার কার্যসিদ্ধি হয় না বলেই বাস্তু মতে মনে করা হয়।

দ্বিতীয়ত:- বাড়ির দক্ষিণ পূর্ব কোণকে শুভ কোন বলা হয়। তাই এই কোণে অ্যাকোরিয়াম রাখতে পারেন। তাতে আপনার সমৃদ্ধি এবং সাফল্য আসতে পারে। সেই সঙ্গে বাড়ির যে কোনও কোণে সল্ট ল্যাম্প রাখতে পারেন। তাতে আপনার বাড়ির উপরে কারও কুপ্রভাব পড়ার সম্ভাবনা থাকে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃতীয়ত:- আপনার বাড়িতে কুনজর থেকে বাঁচাতে বাড়ির যেকোনও এক জায়গা একটি গ্লাসের মধ্যে জলে পাতিলেবু কেটে ডুবিয়ে রাখতে পারেন। প্রতি শনিবার ওই জল বদলে দিন। তাতে আপনার বাড়ির উপর কারও কুপ্রভাব পড়বে না বলেই মনে করা হয়।

চতুর্থত:– আপনার শোবার ঘরটির প্রতি সব থেকে যত্নবান হতে হবে। আপনার শোওয়ার ঘরে যত সম্ভব কম আসবাবপত্র রাখতে হবে। ঘরের দেওয়ালের রং যাতে চোখের জন্য আরামদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এর সঙ্গে অবশ্যই শোওয়া ঘর বাড়ির দক্ষিণ পশ্চিম দিকে হলে ভালো হয়। এর সঙ্গে দিনে কম করে ২০ মিনিট জানলা খুলে রাখুন। বাস্তু মতে, বাইরে থেকে আলো ভিতরে ঢুকলে জীবনেরও অন্ধকার দূর হয়ে যেতে পারে।

পঞ্চমত:- কথায় বলে ফার্স্ট ইম্প্রেশন ইজ দ্যা লাস্ট ইমপ্রেশন। তাই বাড়িতে ঢোকার দরজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাস্তুমতে বাড়িতে প্রবেশের দরজা কাঠের করাই সবচেয়ে ভাল। তবে বাড়িতে ঢোকার মুখে কখনোই জুতোর তাক রাখবেন না। এতে ঘরে নেগেটিভ এনার্জির সঞ্চার হতে পারে। জীবনে সমৃদ্ধি এবং সাফল্যের জন্য বাড়ির প্রবেশদ্বারে অবশ্যই নেমপ্লেট রাখতে পারেন। এতে ভালো ফল পাওয়া যায়।

এছাড়া, প্রতিদিন বাড়িতে প্রদীপ কিংবা বাতি জ্বালানো শুভ বলে মনে করা হয়। প্রতিদিন বাড়িতে ধূপ, ধুনো দিতে পারেন। তাতে বাড়িতে পজিটিভ এনার্জি আসে। এর সঙ্গে দরজা দিয়ে ঢোকার মুখে কোনও ফাঁকা দেওয়াল যেন না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। এর ফলে অনেক সময় নেগেটিভ এনার্জির সঞ্চার হতে পারে বলে মনে করা হয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!