এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > শ্রদ্ধেয় বড়মাকে নিয়ে রাজনীতি অব্যাহত, একই বাড়িতে দু-দুটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে কি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শন?

শ্রদ্ধেয় বড়মাকে নিয়ে রাজনীতি অব্যাহত, একই বাড়িতে দু-দুটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে কি চরম অশ্রদ্ধা প্রদর্শন?

বাংলার রাজনীতিতে উত্তর 24 পরগনার ঠাকুরনগরে মতুয়া মহাসঙ্ঘের ঠাকুরপরিবার অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি হিসেবেই পরিচিত বলে মনে করেন অনেকে। কিন্তু নির্ণায়ক শক্তি হলেও সেই ঠাকুর পরিবারের প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি দেবী প্রয়ানের পর এবার সেই বীণাপাণি দেবীকে নিয়েই শুরু হয়ে গেল শাসক বনাম বিরোধীর রাজনীতি।

যার একদিকে রয়েছে সেই প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি দেবীর প্রয়াত পুত্র কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরের স্ত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর এবং অন্যদিকে রয়েছে প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি দেবীর পুত্র তথা বিজেপির মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এবং তার পুত্র শান্তনু ঠাকুর।

গত পাঁচই ফেব্রুয়ারি বড়মা বীণাপাণি দেবীর মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ সেই ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছলে শেষকৃত্য কারা করবে তা নিয়ে মমতাবালা ঠাকুর বনাম মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এবং তার ছেলে শান্তনু ঠাকুরের মধ্যে তীব্র দ্বৈরথ তৈরি হয়। আর শেষ পর্যন্ত কোনোক্রমে বড়মার শেষকৃত্য হলেও এবার সেই বড়মার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান নিয়েই শাসক বনাম বিরোধীর রাজনীতির তীব্র ছায়া পড়ল ঠাকুরবাড়িতে।

সূত্রের খবর, এদিন বীণাপাণি দেবীর ছেলে তথা বিজেপি নেতা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর নিজের বাড়ির সীমানার দিকে মায়ের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। আর অন্যদিকে তার কিছু দূরেই নাটমন্দির চত্বরে পৃথকভাবে একটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেন সেই বীনাপানি দেবীর বড় ছেলের বৌ তথা তৃণমূলের মমতা বালা ঠাকুর। জানা যায়, দুই তরফই রবিবার অতিথি ও ভক্তদের নিয়ে ঢালাও খাওয়া দাওয়ার জন্য পৃথক পৃথকভাবে আয়োজন করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কৈলাশ বিজয়বর্গী সহ রাজ্য বিজেপির এক ঝাঁক নেতাদের নিজের মায়ের শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পাল্টা মমতা বালা ঠাকুরও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শাসক দলের একাধিক নেতা মন্ত্রীকে এই শ্রাদ্ধানুষ্টানে আসতে বলেছেন। আর একই বাড়িতে বড়মা বীণাপাণি দেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান একসাথে না করে তাকে রাজনীতির ছাপ দিয়ে দেওয়ায় হতবাক মতুয়া মহাসঙ্ঘের ভক্ত থেকে সদস্যরা। কেন তারা পৃথকভাবে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করছেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি দেবীর নাতি বিজেপির শান্তনু ঠাকুর বলেন, “হিন্দু শাস্ত্র মতে ছেলেরাই মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করেন। পুত্রবধূরা করেনা। মমতা বালা ঠাকুর শাসকদলের হয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের ধর্মের শাস্ত্রকেই মানেননি।” পাল্টা এই ব্যাপারে মুখ খুলে বীণাপাণি দেবীর বৌমা তথা তৃণমূলের মমতা বালা ঠাকুর বলেন, “আমি মঞ্জুলদেরকে একসঙ্গে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করার কথাই বলেছিলাম। কিন্তু ওরা আমাদের নেয়নি। মতুয়ারা কারও একার নয়। তাই ভক্তদের নিয়ে আমি পৃথকভাবে একটি শ্রাদ্ধানুষ্টান করছি।” সব মিলিয়ে এবার প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি দেবীর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও শাসক বনাম বিরোধীর দ্বন্দ্বে কার্যত আড়াআড়ি হয়ে গেল ঠাকুরবাড়ি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!