এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড়সড় জয় পেলেন তৃণমূল নেত্রী, খুশির হাওয়া ঘাসফুল শিবিরে

বড়সড় জয় পেলেন তৃণমূল নেত্রী, খুশির হাওয়া ঘাসফুল শিবিরে

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক। নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় বিষোদগার করেছেন। এমনকি লোকসভা নির্বাচনের পর বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার কেন্দ্রের ক্ষমতাতে আসলেও তার সাথে দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। অনেকে ভেবেছিলেন, এই ব্যাপারে সংসদে কংগ্রেস এবং তৃণমূল হাতে হাত ধরে বিজেপি বিরোধীতার পথে হাঁটবেন। দুই মহলের অনেকে এই ব্যাপারে আশাবাদীও ছিলেন।

কিন্তু এবার “এম্প্লয়িজ স্টেট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন” এর সদস্য নির্বাচনকে ঘিরে সেই সংসদে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হল। জানা যায়, এই নির্বাচনে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন 90 টি ভোটে জয়লাভ করলেও তারই প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য্য 46 টি ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। অন্যদিকে সিপিএমের করিম পেয়েছেন মোটে আটটি ভোট। আর দোলা সেন এই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করায় তাকে শুভেচ্ছা জানান তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু এই নির্বাচন একটি নির্ভেজাল বিষয় হলেও সংসদে এই ব্যাপারে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মত দুই বিরোধীদলের একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, এর আগে এর সদস্য ছিলেন দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বর্তমানে এই পদটি তৃণমূলেরই পাওয়ার কথা। কিন্তু তৃণমূলের দাবি, সংসদীয় প্রথা মেনে এসব ক্ষেত্রে ভোট হয় না। কংগ্রেস আমাদের কিছু না জানিয়েই প্রদীপ ভট্টাচার্য্যকে প্রার্থী করে দিয়েছে। আমাদের দলের বিরুদ্ধে ডামি প্রার্থী হিসেবে ওরা সিপিএমকে দাঁড় করিয়েছে। এদিকে তৃণমূলের দোলা সেনের কাছে তিনি হেরে যেতেই তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বিজেপির দুই সাংসদ প্রকাশ জাভড়েকর এবং উপেন্দ্র যাদবের কাছে এই ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “বাংলায় তৃণমূল বিজেপিকে মারছে বলে সোচ্চার হন। আর এখানে সেই তৃণমূলকেই ভোট দিচ্ছেন।” যার উত্তরে বিজেপির প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, “এটা সংসদের রাজনীতি।” এদিকে কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য্যর 48 জন সদস্যের ভোট পাওয়ার কথা থাকলেও গুলাম নবী আজাদ এবং বিকে হরিপ্রসাদ বাইরে থাকায় তিনি এদিন 46 টি ভোট পেয়ে হেরে গেছেন।

তবে প্রদীপ ভট্টাচার্য্য এই নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিজেপির সাথে তৃণমূলের সমঝোতার অভিযোগ করলেও তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, “ইএসআইসির সদস্য পদ আমাদেরই প্রাপ্য। কিন্তু কেন কংগ্রেস সেখানে প্রার্থী দিল তা স্পষ্ট হল না। বিজেপির কাছে আমরা কোনো আবেদন করিনি। এই ভোটে হুইপ হয় না। তাই গোপন ব্যালটে কে কাকে ভোট দিয়েছে, তা কি করে জানব।” তবে এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন নিয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে সংসদে বিবাদ বাধলেও নিজের সাংসদ দোলা সেন বিপুল ভোটে জয়লাভ করায় লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পর যে ফের জয় পাওয়ায় যে খুশি তৃণমূল নেত্রী, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!