এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনার কামড় থেকে বিশ্ববাসীকে মুক্তি দেবে ভারতের কোভ্যাক্সিনই? নতুন তথ্যে বাড়ছে আশার আলো?

করোনার কামড় থেকে বিশ্ববাসীকে মুক্তি দেবে ভারতের কোভ্যাক্সিনই? নতুন তথ্যে বাড়ছে আশার আলো?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অবশেষে ভ্যাকসিন নিয়ে আশার বাণী শোনাতে দেখা যাচ্ছে ভারতকে। এতদিনের এত প্রচেষ্টার পরেও এখনো বিশ্ববাসীর কাছে অধরা রয়েছে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন। সেইসঙ্গে করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে তার ধ্বংসলীলা অব্যাহত রেখেছে। মানুষের কাছে ভ্যাকসিন ছাড়া স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আর কোন উপায় নেই বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা।

তাই যতটা সম্ভব মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং করোনা সতর্কতা পালন করে সুস্থ থাকা যায়, সেই প্রচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের তরফে এমন সুখবরে স্বভাবতই দেশবাসীর মুখে আশার আলো ফুটতে চলেছে বলেই মনে করছেন অনেকে। সকলের কাছেই এখন তাই শেষ সুখবর শোনার প্রতীক্ষা রয়েছে বলেই জানা গেছে।

জানা গেছে বিশ্বে যে কয়টি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছিল, তাদের মধ্যে থেকে ভারতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক কোভ্যাকসিন নিয়েই এই আশার আলো শোনা গেছে। ভারতের তত্ত্বাবধানে এই প্রতিষেধক খুব তাড়াতাড়ি তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে দেশের ২৬ হাজার মানুষকে নিয়ে প্রায় ২৫ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে এই প্রতিষেধকের ট্রায়াল চলবে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ভারতের কন্ট্রোলার জেনারেল ইতিমধ্যেই ভারত বায়োটেককে এই পরীক্ষার ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। বস্তুত এই প্রতিষেধকের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়াল সফল হয় এবং তার সাফল্যের পরই এই তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তথ্য সূত্রে জানা গেছে। দেশের ১৪ ১৫টি রাজ্যের মানুষের মধ্যে এই ট্রায়াল চালানো হবে বলে জানা গেছে।

ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দেখে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে তাদের তৈরি এই কোভ্যাকসিন মানুষের দেহে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে, সেই কথা বলা যাচ্ছে। তাই যেখানে প্রথম দুটি পর্বে প্রায় এক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপর করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছিল, সেখানে কোনো রকম প্রতিকূল ঘটনা ছাড়াই দুটি পর্বের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

আর যার ফলেই তৃতীয় পর্বে আরো বেশি সংখ্যক মানুষের ওপর এই পরীক্ষা চালানোর জন্য সম্মত হয়েছে সংস্থাটি এবং ভ্যাকসিন এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেই মনে করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ভারতের পক্ষ থেকে এই ভ্যাকসিনের খবর পেয়ে বিশ্বের আরও দশটি দেশ তাদের প্রতিষেধক নিয়ে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে তাও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে।

সেক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে ভারতের তৈরি এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হবে বলেও জানা যায়। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশে এর প্রতিষেধক তৈরির বিষয়টিকে পর্যালোচনা করা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। ফলত ভারতের ভ্যাকসিন যে শেষপর্যন্ত বিশ্ববাসীর এই করোনা কালকে অবসান ঘটাতে সক্ষম হবে, সেই আশাই রেখেছেন সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!