বর্ষীয়ান নেতার অসন্তোষ চরমে, সদর দপ্তরে ডেকে জবাবদিহি তলব! জোর জল্পনা! বামফ্রন্ট রাজনীতি রাজ্য July 5, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় একটিও প্রতিনিধি পাঠাতে পারিনি বামেরা। কার্যত শূন্য হয়ে যেতে হয়েছে তাদের। আর বামেদের এই বেহাল দশা সামনে আসার পরই সংগঠনের দোষ-ত্রুটি তুলে ধরে নীচুতলা থেকে শুরু করে উপরতলার নেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। তবে দল ভালো ফল করতে না পারলেও, সংগঠনের লাইন যাতে ঠিকঠাক থাকে এবং শৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে, তার জন্য এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল সিপিএমকে। সম্প্রতি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের সংগঠনের বেশ কিছু ত্রুটির কথা তুলে ধরে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই চিঠি সামনে আসার পর কান্তিবাবুর মত দলীয় আনুগত্যের পরিচয় দেওয়া নেতার এইরকম মনোভাব নিয়ে বামেদের একাংশ ব্যাপক চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। তাই এবার সেই কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠালো আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এই ব্যাপারে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে ডেকে পাঠানো হয়েছে রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে। যেখানে সরাসরি তার নানা আপত্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বস্তুত, সম্প্রতি সংগঠনের কাঠামো বদলে ফেলার পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যায় কান্তিবাবুকে। যার পরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে যায় বাম নেতৃত্ব। তার মত অভিজ্ঞ সম্পন্ন এবং প্রবীণ নেতা যদি দলের সংগঠন নিয়ে প্রকাশ্যে এই রকম মন্তব্য করেন, তাহলে সিপিএম যে আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকবে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কা শুরু হয় দলের অন্দরে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার এই বর্ষিয়ান নেতাকে ডেকে তার মনোভাব বুঝতে চাইছে বাম নেতৃত্ব বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশ বলছেন, বামেরা কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে, এটা একটা বড় প্রশ্ন। কেননা দীর্ঘ 34 বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা বামফ্রন্টের যে এই দশা হবে, তা কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি। দীর্ঘ 34 বছর ক্ষমতায় থাকার আগে বামেরা বিরোধী আসনে ছিল। কিন্তু তা সত্বেও কখনও তাদের বিধানসভায় প্রতিনিধি ছিল না, এমনটা হয়নি। কিন্তু 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত বিধানসভা থেকে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেছে কাস্তে-হাতুড়ি শিবির। আর তারপরই অভিজ্ঞ বর্ষিয়ান নেতারা দলের সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তবে সংগঠনের লাইন নিয়ে প্রশ্ন তোলা অভিজ্ঞ নেতারা যদি এইরকম মন্তব্য করতে থাকেন, তাহলে দল সম্পর্কে খুব একটা ভালো ভাবমূর্তি তৈরি হবে না। তাই প্রথম থেকেই সংগঠনকে প্রাধান্য দিয়ে বিদ্রোহী সুরকে দমানোর জন্য কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মত বর্ষীয়ান নেতার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তার কারণ জানতে উদ্যত হল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। স্বাভাবিকভাবেই আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ডাকে দলের রাজ্য দপ্তরে উপস্থিত হন কিনা কান্তিবাবু এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে দলের পক্ষ থেকে তাকে কি বার্তা দেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -