এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বর্তমান নেতারা কোনঠাসার চেষ্টা করলেও মমতার হাত ধরে ফিরে এসেই নিজের দাপট বোঝাচ্ছেন আদি নেতা

বর্তমান নেতারা কোনঠাসার চেষ্টা করলেও মমতার হাত ধরে ফিরে এসেই নিজের দাপট বোঝাচ্ছেন আদি নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সখ্যতা থাকলেও, মাঝে তার অবনতি হতে শুরু করে বিজেপির হাত ধরতে দেখা যায় বিমল গুরুংকে। তারপরে জিটিএ প্রধান থেকে সেই বিমল গুরুংকে সরিয়ে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিনয় তামাংয়ের উপর। ধীরে ধীরে বিনয় তামাং তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেন। আর এরপরই পাহাড়ের দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে চলে যায় বিনয়বাবু এবং তার অনুগামীদের ওপর। কিন্তু সাম্প্রতিককালে দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকার পর আবার প্রকাশ্যে এসেছেন সেই বিমল গুরুং। যেখানে এনডিএ ত্যাগ করে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পথ চলার কথা জানিয়েছেন তিনি।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এতদিন ধরে পাহাড় সামলানো তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা বিনয় তামাং এবং তার অনুগামীরা ক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছেন। কোনোভাবেই যে বিমল গুরুংকে তারা মেনে নেবেন না, তা কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন‌। আর এমত পরিস্থিতিতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সমস্যা সমাধান করতে বিনয় তামাং এবং তার অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে বৈঠকে কিছুটা হলেও খুশি বলে জানিয়েছেন বিনয় তামাং। কিন্তু সত্যি সত্যি কি বিমল গুরুংকে এড়িয়ে পাহাড়ে কাজ করা সম্ভব! এখন তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিমল গুরুংকে পাহাড়ের “ক্লোজড চ্যাপ্টার” বলে দাবি করেছিলেন বিনয় তামাং। আর এবার অডিও বার্তায় সেই জবাব দিতে দেখা গেল বিমল গুরুংকে। যেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পাহাড়ের ক্লোজড চ্যাপ্টার নন। পাশাপাশি পাহাড়ে নিজের কর্মীদের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিমল গুরুং। স্বাভাবিকভাবেই অডিও বার্তার মাধ্যম দিয়ে বিমল গুরুংয়ের এই ধরনের বক্তব্য প্রকাশ্যে চলে আসায় তিনি যে কোনোমতেই পাহাড়ের রাজনৈতিক ময়দান ছাড়ছেন না, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল।

আর এর ফলে নতুন করে পাহাড়ের উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে। যদি এইভাবে বিমল গুরুং পাহাড়ে সক্রিয় হতে শুরু করেন, তাহলে বিনয় তামাং এবং বিমল গুরুংয়ের গোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, বিমল গুরুং আবার পুরনো কায়দাকে বেছে নিয়েছেন। বিনয় তামাং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে খুশি হওয়ার পর বিমল গুরুং সক্রিয় হয়ে অডিও বার্তার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তিনি কোনোভাবেই পাহাড়ের রাজনীতি থেকে সরে আসছেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিমল গুরুং অডিও বার্তার মধ্যে দিয়ে শান্তি স্থাপনের কথা বললেও, এই অডিওতে বিমল গুরুংয়ের কণ্ঠস্বর নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিনয় তামাং। এদিন অডিওবার্তায় বিমল গুরুং বলেন, “সবাইকে শান্তি বজায় রেখে সংগঠনের কাজ করতে হবে। চিন্তার কিছু নেই। রাজনীতিতে সময় শেষ কথা বলে। জয় গোর্খা। জয় গোর্খাল্যান্ড।” এদিকে বিমল গুরুংয়েথ এই অডিও প্রকাশ্যে আসার পর তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে বিনয় তামাংকে‌। এদিন তিনি বলেন, “গলাটা শুনে আমাদের তো সন্দেহ এটা বিমল কিনা! ওর লোকজন ভুয়ো টেপ ছড়াতে পারে।”

যদিও বা তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিমল গুরুংয়ের অনুগামী তথা মোর্চা সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। তিনি বলেন, “আসল নকল নিয়ে বিমলদের ভাবতে হবে না। ওটা পাহাড়বাসীর প্রতি সভাপতিরই বার্তা।” তবে পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে বিমল গুরুংয়ের এই অডিও টেস সত্যি হোক বা মিথ্যা, তিনি যে পাহাড়ের রাজনীতি থেকে সহজে সরবেন না, তা কার্যত স্পষ্ট। দিন কে দিন এখানে বিমল গুরুং এবং তার অনুগামীরা প্রভাব বাড়াতে শুরু করেছে। আর এই রকম ভাবেই যদি পাহাড় এগিয়ে যেতে শুরু করে, তাহলে দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলে ফের উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কার মেঘ দেখছে শৈলশহর। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!