এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুধু বাসন্তীতেই 30 হাজার পিছিয়ে থাকার গোপন রিপোর্ট, জয়নগর বাঁচাতে তৃণমূলের শেষ ভরসা দলনেত্রীই

শুধু বাসন্তীতেই 30 হাজার পিছিয়ে থাকার গোপন রিপোর্ট, জয়নগর বাঁচাতে তৃণমূলের শেষ ভরসা দলনেত্রীই

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই সব থেকে বড় কাটা হতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বলে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। যেমন, জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বেশ কয়েকটি বিধানসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই এবার সেইখানে অনেকটাই খারাপ ফল হতে পারে বলে খবর রয়েছে। তবে সেই সমস্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে রোধ করতে এবার সেই জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের দুটি বিধানসভায় বড় মাপের সভা করে সেখানে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনতে চাইছেন শাসক দলের নেতৃত্বরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার মধ্যে কুলতলী, জয়নগর, ক্যানিং 1 ও বাসন্তীতে তৃনমূলের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। এমনকি নেতায়-নেতায় গন্ডগোল এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাসন্তী বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী 30 হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকতে পারে বলে ইতিমধ্যেই একটি গোপন রিপোর্ট পাওয়া গেছে বলে খবর। আর যা দেখেই প্রবল চিন্তার ভাঁজ কপালে পড়তে শুরু করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রবিবার জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী হরিদেবপুরে নিজের অফিসে বাসন্তীর এই জটিলতা নিয়ে সেখানকার সমস্ত নেতৃত্বদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন। যেখানে বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কামালউদ্দিন লস্কর, 5 জন কর্মাধ্যক্ষ ও শাখা সংগঠনের নেতৃত্বরা উপস্থিত থাকলেও মাদার সংগঠনের তপু মাহাতো এবং যুব সংগঠনের আমান লস্কর উপস্থিত ছিলেন না।

জানা গেছে, সেই বৈঠকেই বাসন্তীতে দলের কোনো নেতার সঙ্গে কোনো নেতার মিল নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। পাশাপাশি এই রকম চলতে থাকলে বাসন্তী বিধানসভা থেকে লিড পাওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন সেখানকার নেতারা।

আর এই সমস্ত কথা শোনার পরই বৈঠকে উপস্থিত জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, “এই সমস্ত বিষয়ে আমি দেখে দেব। কিন্তু সকলে মিলে যদি একসাথে চলেন তাহলে বাসন্তীতে লিড আসবেই।” তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি এহেন কড়া নির্দেশিকার পরও তলায় তলায় নেতাদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব কমবে না, সেই ব্যাপারটি আঁচ করে এবার এই বাসন্তীতে দলীয় নেতাদের সমস্ত গোষ্ঠী কোন্দল মেটাতে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে জনসভা করতে চাইছে শাসকদল।

অনেকে মনে করছেন, দলনেত্রী এসে ভোকাল টনিক দিলেই এলাকায় সমস্ত নেতারা লিড বাড়ানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন। আর তাই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনেই এই বাসন্তীতে লিড বাড়াতে মরিয়া শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!