এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপি কর্মীদের আটকানোর জন্য ‘ইচ্ছাকৃত’ এই কাজ পুলিশের – রণক্ষেত্র উত্তরবঙ্গ, জানুন বিস্তারিত

বিজেপি কর্মীদের আটকানোর জন্য ‘ইচ্ছাকৃত’ এই কাজ পুলিশের – রণক্ষেত্র উত্তরবঙ্গ, জানুন বিস্তারিত


অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে! কোচবিহারে সভায় যাওয়ার পরে বিজেপি কর্মীরা চরম ভোগান্তির শিকার হলেন। রাজ্যপুলিশের সক্রিয়তায় বাস আটকানো হল তাঁদের। সভায় যেতে না দেওয়ার জন্যে ইচ্ছাকৃতভাবে বাস আটকানো হয়েছে বিজেপি কর্মীদের, এমনটাই অভিযোগ।

আবার বিজেপির বিরুদ্ধে ইট ছোঁড়ায় পাল্টা অভিযোগও করেছে পুলিশ। ইটের আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে জলপাইগুড়ি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুপ শেরপা। চোখে আঘাত লেগেছে তাঁর। এছাড়াও চোট পেয়েছেন ওসি ট্রাফিক অসীম মজুমদার, ধুপগুড়ি থানার আইসি-সহ মোট ছ’জন পুলিশ কর্মী।

এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রের খবরে। এই আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তেই এলাকা রণক্ষেত্রের আকার নেয়। পরিস্থিতি এখনো থমথমে। এলাকায় মোতায়েন রাখা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

রাজ্যবিজেপি প্রস্তাবিত রথযাত্রা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। ৭ ডিসেম্বর থেকেই শুরু হওয়ার কথা ছিল বিজেপির এই “গনতন্ত্র বাঁচাও” অভিযান কিন্তু বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে হাইকোর্টও হস্তক্ষেপ করতে রাজি হয় নি। তাই আপাতত রথযাত্রা আদৌ হবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

তবে এদিন রথযাত্রার বদলে বিশাল জনসভার আয়োজন করে বিজেপি। সেই সভাতে যোগ দিতেই জলপাইগুড়ি থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা একটি বাসে করে আসছিলেন। কিন্তু জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ির শালবনি এলাকায় আসলেই তাঁদের বাস আটকায় পুলিশ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কোনো কারণ ছাড়াই জোর করে থানায় নিয়ে যেতে চায় পুলিশ কর্মীরা। এমনটাই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। এবং তাঁরা থানায় না যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে জোর বচসা শুরু হয় তাঁদের। এবং তর্কাতর্কি এমন পর্যায়ে পৌছায় যে মুহূর্তেই হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। সেখান থেকে ধস্তাধস্তি বাঁধে।

যদিও পুলিশের অভিযোগ ভিন্ন৷ তাঁদের দাবী, বিজেপি কর্মীরাই প্রথমে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। ইটের ঘায়ে গুরুতর জখম হন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডেন্ডুপ শেরপা সহ আরো কয়েকজন। এই ঘটনায় এখনো কেউ কারোর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। তাই কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। এছাড়া ঘটনাস্থলে রয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি, এমনটাই জেলা সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে।

উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস এবং কোচবিহার প্রশাসনের বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ঘটনার দিনই সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যসরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা। বলেন রাজ্য সরকারের নির্দেশেই স্থানীয় প্রশাসন বিজেপির সভাকে বানচাল করতে এই কাজটি করেছে।

এরপর অভিযোগের স্বর আরো চড়া করে বললেন, গনতন্ত্রের অপশাসন চলছে বাংলায়। আইনশৃঙ্খলা তালানিতে গিয়ে ঠেকেছে এ রাজ্যে৷ পুলিশের মদতে তৃণমূল তার মর্জি মতো নির্দ্বিধায় কাজ করে চলেছে। ইচ্ছে করে বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। একথা বলে মা মাটি মানুষের সরকারের তীব্র নিন্দা করলেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!