এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সত্যিই কি বায়ুবাহিত করোনা? চীন থেকে আসা নতুন তথ্যে কি উড়তে চলেছে ঘুম? জেনে নিন বিস্তারিত

সত্যিই কি বায়ুবাহিত করোনা? চীন থেকে আসা নতুন তথ্যে কি উড়তে চলেছে ঘুম? জেনে নিন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গত ছ’মাস ধরে করোনাভাইরাস ছড়ানোর যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেয়েছে তা থেকে এটি একটি সংক্রামক ব্যাধি বলেই মনে করা হয়েছে। তবে প্রথমে সাধারণত এটি হাঁচি-কাশি বা সরাসরি মানুষের সংস্পর্শে আসার ফলে সংক্রমনের জায়গায় থাকে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে পরবর্তীকালে নতুন গবেষণায় সে ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে কেবলমাত্র মানুষের সংস্পর্শে না এলেও কোনো সংক্রমিত মানুষ যে বাতাসে নিশ্বাস নিচ্ছেন সেই বাতাসও ইনফেক্টেড করতে পারে কোন এক সাধারণ মানুষকে। তাই এটিকে বায়ুবাহিত সংক্রামক রোগ বললেও অত্যুক্তি করা হবে না। তবে সেই কথা বলার আগে করোনা সংক্রমনের আরও কয়েকটি কথা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।

সরাসরি সংক্রমণ ছাড়াও দু ভাবে সংক্রমণ হতে পারে। প্রথমত কিছু লোক যারা জানেন না যে তারা সংক্রামিত হয়েছেন। কিন্তু তারা এটি অন্যকে দিতে পারছেন। একে অ্যাসিপ্টোমেটিক স্প্রেড বলে। আর দ্বিতীয়ত সংক্রমণের কোনও লক্ষণ লক্ষ্য করার আগেই আপনি এটি অন্যকে ট্রান্সফার করতে পারেন। যাকে বলা হয় প্রিপ্মোম্যাটম্যাটিক স্প্রেড। তবে সম্প্রতি গবেষণা বলছে এই দুটো বিষয় ছাড়াও আরও একভাবে মানুষ সংক্রমিত হতে পারে। আর তা হলো বায়ুবাহিত। ধরুন কোনো একটি মানুষ করোনা সংক্রমিত। সেক্ষেত্রে সেই মানুষটি যে বাতাসে হাঁচছেন বা কাশছেন অথবা নিশ্বাস নিচ্ছেন, সেই বাতাসে তিন ঘন্টা পর্যন্ত রয়ে যেতে পারে করোনা ভাইরাস। সেক্ষেত্রে কোনো সুস্থ মানুষ সেই বাতাসে নিঃশ্বাস নিলে তা ওই মানুষকে সংক্রমিত করতে যথেষ্ট। করোনাকে তাই গবেষকদের মতে বায়ুবাহিত রোগ বললেও বলা যেতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর প্রমাণ স্বরূপ চীনের একটি ঘটনার কথা বলা যেতে পারে। চলতি বছরের ১৯শে জানুয়ারি দুটি বাস যাত্রার ঘটনা থেকে বলা যায় যে করোনা বায়ুবাহিত সংক্রমণ। ঘটনাটি হল দুটি বাসই একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্যে যাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিল। বাস দুটির একটিতে ৬০ জন ছিলেন, আর অন্যটিতে ৬৮ জন। যে বাসে ৬৮ জন যাত্রী ছিলেন, সেই বাসে একজন করোনা সংক্রমিত ছিলেন। পরে সেই বাসের ২৪ জনের করোনা ধরা পড়ে। এদিকে অপর বাসের একজনেরও করোনা সংক্রমণ হয়নি। আর দুটি বাসই সেন্ট্রালি এয়ার কন্ডিশনড ছিল।

বদ্ধ জায়গায় যে করোনা সংক্রমনের হার বেশি থাকে সেই কথা আগেই জানা গিয়েছিল। সেই সঙ্গে এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় পুরো ব্যাপারটা। কথাটা জানাজানি হতে পরে এক গবেষকের দাবি করেন, যে করোনা রোগীর বাসের বাকি যাত্রীদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ৩৪ শতাংশ ছিল। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি ছিল ১১ গুণ বেশি। তাই মানুষের উচিত সচেতন হওয়া। করোনা সতর্কতা অবলম্বন করতে বদ্ধ জায়গায় না থাকা বা সবসময় মাস্ক পরে থাকাটা খুবই প্রয়োজন। তবে এতদিন ধরে করোনা সতর্কতা পালন করে অনেকেই এখন হাল ছেড়ে দিয়েছেন, তাতে মুশকিল আরও বেড়েছে। সে জায়গায় এরকম একটা নতুন তথ্য বিপদের সিঁদুরে মেঘই দেখাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!