বিডিওদের কাছে সময়ে টাকা পৌঁছে গেলেও – শিক্ষাবর্ষের শেষেও দেখা নেই স্কুল পোশাকের! বাড়ছে জল্পনা রাজ্য October 29, 2018 প্রতিবারের মতো এবারেও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই জেলা সর্ব শিক্ষা মিশন দপ্তর থেকে স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক তৈরির জন্য টাকা পাঠানো হয়ে গিয়েছে বিডিওদের,তবুও অপ্রত্যাশিতভাবে এখনো পোশাক পায় নি উত্তর দিনাজপুর জেলার অধিকাংশ প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা। এদিকে চলতি আর্থিক বর্ষের পোশাকের জন্য টাকার অনুমোদন ইতিমধ্যেই চলে এসেছে অথচ গতবছরের খরচের হিসাব নিকাশ হাতে এসে পৌছায় নি দপ্তরে। এর জেরে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আগামী বছরের জন্য টাকা চাইতে পারছে না জেলা সর্বশিক্ষা মিশন দপ্তর। ফলত গোটা বিষয়টি নিয়েই অস্বস্তিতে তাঁরা। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে জেলা শিক্ষকমহলেও। প্রশাসনের অসচেতনতার মাশুল দিতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। গোটা৷বিষয়টিই খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। সর্ব শিক্ষা মিশন সূত্রের খবর, জেলার প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে প্রথম থেকে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত প্রায় আড়াই লক্ষ পড়ুয়াদের সরকারি খরচে পোশাক দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনেই। ছাত্রদের জামা প্যান্ট এবং ছাত্রীদের জামা ও ফ্রকের জন্যে প্রতি ছাত্র বা ছাত্রী পিছু ৪০০ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সেই হিসাব মেনেই জেলার ৯ টি ব্লকে মোট প্রায় ১১ কোটিও বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জেলার কালিয়াগঞ্জ এবং ইটাহার ছাড়া জেলার অন্যান্য স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীরা এখনো পোশাক পায়নি। এদিকে চলতি শিক্ষাবর্ষ শেষ হতে চলল। যে ছাত্রছাত্রীরা এবার অষ্টম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণীতে উঠবে এবং যারা চতুর্থ শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে উঠবে তাদের আর চলতি বছরে পোশাক পাওয়া হল না। এক্ষেত্রে তারা বিনা কারণেই বঞ্চনার শিকার হল। শুধু তাই নয়, পোশাক দিতে দেরি করার কারণে আগামী শিক্ষা বর্ষেও পোশাক দেওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এই ইস্যুতে বিডিওদের বিরুদ্ধে সওয়াল তুলতে সরব হলেন এবিপিটিএ-র জেলা সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু রায়চৌধুরি। বললেন,পুজোর ছুটির পর নভেম্বরে স্কুল খুলবে আর ডিসেম্বরে ফাইনাল পরীক্ষা হলেই চলতি শিক্ষাবর্ষ শেষ হয়ে যাবে। অথচ এখনল জেলার অধিকাংশ স্কুলের পড়ুয়ারাই পোশাক পেল না। ফলত সমস্যা,যাঁরা এবার উঁচু ক্লাসে উঠবে, যে কোনে পড়ুয়া অষ্টম শ্রেনি থেকে নবমে উঠলে তাদের তার পোশাক দেওয়াই যাবে না। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে,স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে জেলার স্কুলগুলোতে পোশাক বানিয়ে দেওয়ার নির্দেশের কথা প্রকাশ্যে আনলেন জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক প্রবীরকুমার পাত্র। বললেন,ব্লক স্তর থেকেই পরিচালনা করা হয়। প্রতিবছরের মতো এবছরও মার্চ মাসেই সমস্ত টাকা বিডিওদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে টাকা খরচের হিসাব এখনো এসে পৌছায়নি। ফলত সমস্যা,আগামী আর্থিক বর্ষের জন্য পোশাক তৈরির আর্থিক অনুমোদনের ভিত্তিতে অর্থ চাইতে পারছেন না তাঁরা। এখন প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জেলাশাসক কত জলদি সমস্যা সমাধান করতে পারেন,সেটিকেই নজর রয়েছে জেলা শিক্ষামহলের। আপনার মতামত জানান -