এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি পুনরুদ্ধার করতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার

বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি পুনরুদ্ধার করতে এবার বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বহু স্থানে সরকারি জমি বেদখল হয়ে গেছে। অনেক স্থানে সরকারি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ নির্মাণ। যার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। বিশেষ করে রাজ্যের সেচ দপ্তরের বহু জমি বেদখল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যাচ্ছে, কোথাও কোথাও সেচ দপ্তরের জমি দখল করে অবৈধভাবে বিয়েবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। কোথাও ইটভাটা নির্মাণ করে, ফিসারী নির্মাণ করেও জমি দখল করা হয়েছে। এবার বেদখল হয়ে যাওয়া সেচ দপ্তরের জমিগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। যে জমি বেদখল হয়ে গেছে, তার তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে রাজ্যের সেচ দপ্তর। দ্রুত এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি কলকাতার জনৈক কাউন্সিলর সেচ দপ্তরের বহু জমি বেদখল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সেচ দপ্তরের জমিতে অবৈধভাবে বিয়েবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এরপরই এ বিষয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্যের সেচ দপ্তর। কোথায় কোথায় অবৈধভাবে জমি দখল করা হয়েছে? তা রিপোর্ট করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপর তার সমীক্ষা করে দেখা হবে। সমস্ত জেলার জেলাশাসকের কাছে রাজ্য সেচ দপ্তরের প্রধান সচিব প্রভাত মিশ্র এই নির্দেশ জারি করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে সেচ দপ্তরের জনৈক আধিকারিক জানালেন যে, সেচ দপ্তরের অনেক জমি অনেকদিন ধরে দখল হয়ে আছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অবৈধ নির্মাণ করা হয়েছে। তাই সেই সমস্ত জমি ফিরিয়ে আনা খুব একটা সহজ নয়। তাই এক্ষেত্রে জমির দখলদারের সঙ্গে চুক্তি হতে পারে, কোথাও কোথাও জমি লিজ দেওয়া হতে পারে। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে নির্দেশ দেবেন? সেই হিসেবেই কাজ করা হবে।

জানা গেছে, সরকারের বিভিন্ন জনমুখি প্রকল্প বিশেষ করে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, লক্ষীর ভান্ডার ইত্যাদির বাস্তবায়ন করতে গেলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। অবৈধভাবে সেচ দপ্তরের জমি দখল হয়ে থাকায় সেগুলো কোন কাজে লাগছে না। যেক্ষেত্রে জমি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, সেসব ক্ষেত্রে জমি লিজ দেয়া হলে বা জমি চুক্তিভিত্তিক করে দেয়া হলে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়বে। এরসঙ্গেই সেখানে অনেককে পুনর্বাসন দেওয়াও সম্ভব হবে। তাই এই জমিগুলি পুনরুদ্ধারের নামতে চলেছে সেচ দপ্তর।

এ বিষয়ে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র জানিয়েছেন যে, সেচ দপ্তরের অধীনে থাকা বেদখল হয়ে যাওয়া জমিগুলোর উদ্ধারে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে দপ্তরের জমি ও জলাশয়গুলির পরিসংখ্যান জোগাড়ের কাজ শুরু হয়েছে। ল্যান্ড ব্যাঙ্ক বানাতে হবে। তার কাজ করা হচ্ছে। তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, বেশ কিছু এলাকায় অবৈধভাবে সেচ দপ্তরের জমি দখল করে নানা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এজন্যই সেচ দপ্তর এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে। দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সেচ দপ্তরের পরিত্যক্ত জমি বা জলাশয়গুলির বিস্তারিত রিপোর্ট সামনে এলে এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেচ দপ্তরের বৈঠক হবে। বৈঠকের পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!