এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মমতার অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন সাংসদ! আনলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

বাংলায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মমতার অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন সাংসদ! আনলেন বিস্ফোরক অভিযোগ


রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যে চরম আকার ধারণ করছে দিন দিন তা নিয়ে নিঃসন্দেহ বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি এতটা মারাত্মক হবার কারণ হেতু রাজ্য সরকারকেই দায়ী করছে বিরোধী দলগুলি। তার মধ্যে নতুন করে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক।

সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রায় দুমাস পর দিল্লি থেকে পা দিয়েছেন কলকাতায়। এবং বিমানবন্দরে নামার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাজ্য সরকারের প্রতি। তার কথায় পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে আসার আগেই করোনা পরিস্থিতি চরম আশঙ্কাজনক ছিল রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ লকডাউনের সময়কালে করোনা আটকানোর জন্য যে পরিকাঠামো তৈরি করা দরকার ছিল, তা করতে সম্পূর্ণ বিফল হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি নিজের সহানুভূতি প্রকাশ করেন এবং যে দুর্ভাগ্যের শিকার ইতিমধ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকরা হতে শুরু করেছে, তা নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিন তিনি রাজ্য সরকারের পরিযায়ী শ্রমিকদের দায় ঝেড়ে ফেলা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এদিন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানান, মুখ্যমন্ত্রী এখানে খেলায়, মেলায়, পূজোয় চাঁদা বিলি করছেন।

কিন্তু যেসব গরীব মানুষরা বাইরে থাকেন, তাদের জন্য সামান্য টাকাও তিনি দেননি। পেটের খাবার যোগাড় করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে আসছে রাজ্যে। সেখানেও যদি তাঁদেরকে এভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে তারা কোথায় যাবে?

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে করোনা পরিস্থিতি এবং আমফান পরিস্থিতির জেরে রাজ্য সরকার দুর্বিপাকে পড়েছে অবস্থা সামলাতে, তার মধ্যেই এবার নতুন করে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা রাজ্য সরকারের চিন্তা বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।

কারণ এই বিতর্ক বর্তমান রাজ্য প্রশাসককে বেশ কয়েক ধাপ পিছিয়ে দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আপাতত বিরোধীদের কটাক্ষের সাথে বর্তমান সংকটজনক পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য সরকার এবার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সে দিকেই এখন নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!