বেহালা থেকে ২ বছর পুরোনো ধর্ষণ মামলার নোটিশ গেল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতার কাছে! চূড়ান্ত জল্পনা কলকাতা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 9, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অপরাধমূলক ঘটনায় সরব হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু এবার ধর্ষণের মামলায় বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা শিবপ্রকাশকে বেহালা থানার পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়াকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। যার ফলে এখন ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2018 সালে এই মামলাতেই প্রথম চার্জশিটে নাম থাকে অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের। যা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। আর এবার এই ব্যাপারে নাম জড়িয়ে পড়ল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশের। জানা গেছে, অভিযোগকারীনী যে বয়ান দিয়েছেন, সেখানে নাম রয়েছে বিজেপি নেতা শিবপ্রকাশের। আগামী 7 তারিখে বেহালা থানায় নোটিশ দিয়ে সাত দিনের মধ্যে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শিবপ্রকাশ আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করেছেন। তবে তিনি কিভাবে এই গোটা বিষয়টি সামলাবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। বারবার শিবপ্রকাশের নাম উঠে এসেছে। সেই কারনেই তাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে সামনে যখন বিধানসভা নির্বাচন, তখন এভাবে শিবরকাশের মত কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এই নোটিশ গেরুয়া শিবিরকে অনেকটাই চাপ পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশ বলছেন, ক্রমেই বিজেপির অন্দরমহলে ঘোরালো পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। যে নেতা বাংলার দায়িত্বে রয়েছেন, সেই নেতার বিরুদ্ধে যদি এইরকম অভিযোগ উঠতে শুরু করে, তাহলে সামনের নির্বাচনে তৃণমূল এই গোটা ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনতে শুরু করবে। যা নিঃসন্দেহে গেরুয়া শিবিরের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মত অনেকের। ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে শাসকদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ক্ষমতায় আসার আগেই যদি বিজেপি নেতাদের এইরকম কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে, তাহলে ক্ষমতায় এলে এরা ঠিক কিভাবে রাজ্য চালাবে, তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। মানুষ এদের আসল রূপ ধরে ফেলেছে। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের শাসক দল সব সময় চেষ্টা করে, পুলিশ প্রশাসন দিয়ে দমিয়ে রাখার। তাই এক্ষেত্রে তাদের কেন্দ্রীয় নেতার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এইরকম কাজ চালাচ্ছে শাসকদল। তবে গোটা বিষয় নিয়ে যে এবার রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক ঝড় উঠতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -