এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ”বেইমানি করলে খতম করে দেব!” বিস্ফোরক কল্যাণ

”বেইমানি করলে খতম করে দেব!” বিস্ফোরক কল্যাণ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী বনাম তৃণমূলের যুদ্ধ অতিরিক্ত প্রকট হয়ে উঠেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আজ ছিল নন্দীগ্রাম দিবস। প্রতিবছর এই দিনটি পালন করা হয় তৃণমূলের তরফে। আজকেও পালন করা হয়েছে। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে এবছর নন্দীগ্রামে দুটি সভা হয়েছে। একটি ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির তরফ থেকে করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, যিনি এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের অন্যতম নেতা বলে পরিচিত। এবং অন্য একটি সভা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন নন্দীগ্রামে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সবার ওপরে রেখেছেন। একইভাবে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও হুগলি জেলার ব্যান্ডেলে জনসভা থেকে বিবৃতি দিয়ে নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীকে হুঁশিয়ারি দিলেন। এদিন কল্যাণ ব্যানার্জ্জীও ফিরহাদ হাকিমের সুরে সুর মিলিয়ে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই নন্দীগ্রামের আন্দোলন হয়েছিল আর তাই অনেকেই পরিচিতি পেয়েছে।

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বেশকিছু স্থানীয় নেতা থাকেন, যাদের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মাথার ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, যার ডাকে সবাই ছুটে আসেন বলে তিনি দাবি করেন। একইসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, তৃণমূল এখনো পর্যন্ত যে লড়াই করে চলেছে সেই লড়াইয়ের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং তারপরেই তিনি বিতর্ক জাগিয়ে বলেন, তৃণমূলে থেকে যদি কেউ বেইমানী করে তাহলে তাঁকে খতম করে দেওয়া হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নাম করেও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যে রাজ্যের অন্যতম মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে লক্ষ্য করে বাক্যবাণ নিক্ষেপ করেছেন, সে ব্যাপারে একমত তৃণমূলের একাংশ। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে তৃণমূলের মঞ্চ থেকে এদিন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বারবার উল্লেখ করেছেন, কোন ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই ক্ষমতা লাভ হয়েছে। একই সুর পাওয়া গিয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিবৃতিতেও। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন হুঁশিয়ারি দেন- যারা তৃণমূল থাকতে চাননা, তাঁরা অন্য কোন দলে অবশ্যই চলে যেতে পারেন।

কারণ কারো জন্যই কিছু আটকে থাকবে না। দলে থাকলে পার্টি লাইন মেনেই চলতে হবে বলে জানান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদেরও যে দূরত্ব বাড়ছে তা স্পষ্ট। তবে কি কারণে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এই দূরত্ব তা কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয় রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী যদি তৃণমূল ছাড়েন তাহলে কিন্তু আখেরে তা দলের ক্ষতি। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম দিবসে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক যে রাজ্যে আগামীদিনে বহুদূর গড়াবে, সে ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!