এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বেজে গেল নির্বাচনের দামামা! বড় ঘোষণা কমিশনের!

বেজে গেল নির্বাচনের দামামা! বড় ঘোষণা কমিশনের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –নির্বাচনের দিন ঘোষণার যে আর বেশি দেরি নেই, তা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তৎপরতা তিনি কার্যত প্রমাণিত। সকলেই দাবি করছেন ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। আর এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল নির্বাচন কমিশন।

সূত্রের খবর, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এবার রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি দিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। যেখানে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই কলেজ ক্যাম্পাসগুলো নিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এর জন্য এখন থেকেই কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তারা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের এই চিঠি থেকে কার্যত পরিষ্কার যে, আর কিছুদিনের মধ্যেই ঘোষণা হতে চলেছে নির্বাচনের দিনক্ষণ।ইতিমধ্যেই শাসক থেকে বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে চলছে জোরদার প্রতিযোগিতা। প্রতিনিয়ত দলবদলের পালা দেখতে হচ্ছে বঙ্গবাসীকে। তৃণমূল থেকে হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা যোগ দিতে শুরু করেছেন পদ্মফুল শিবিরে। পাল্টা বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের আত্মীয়-পরিজন থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিজেদের দিকে টানতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির।

আর এই পরিস্থিতিতে এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির যে প্রধান লড়াই হতে চলেছে, তা সকলেরই জানা। তবে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলেই সকল দলকে প্রার্থী ঘোষণা করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। তাই যতক্ষণ না নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হচ্ছে, তার আগে পর্যন্ত একে অপরকে টেক্কা দিয়ে রীতিমত ময়দান জমজমাট করতে শুরু করেছেন বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, আজ উত্তরবঙ্গের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যেই ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে‌। আর তারপরই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কলেজ ক্যাম্পাসগুলো অধিগ্রহণ করা নিয়ে এই ধরনের চিঠি যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।পর্যবেক্ষকদের মতে, এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে নেওয়া উচিত রাজনৈতিক দলগুলোর। কেননা কমবেশি প্রায় সকলেই বুঝতে পারছেন, নির্বাচন এবং তার দিনক্ষণ ঘোষণা হতে আর হাতে গোনা দিনের অপেক্ষা।

স্বাভাবিকভাবেই যেদিন নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দিন ঘোষণা করা হয়, সেদিন থেকেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণ বিধি। আর তারপর থেকেই কোনরকম সরকারি কর্মসূচি করা সম্ভব হয় না। কার্যত ক্ষমতা শুধুমাত্র পদ এবং গ্রামকেন্দ্রিক থেকে যায়। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, তবে কোনরকম সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবেন না। নিতে পারবেন না কোনো অর্থনৈতিক বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত।

তাই বলাই যায়, নির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ঘোষিত ভাবে প্রশাসন থেকে শুরু করে সবকিছুই নির্বাচন কমিশনেরই আজ্ঞাবহ হয়ে পড়বে। ভূমিকা থাকবে না শাসক দলের। এমতাবস্থায় কলেজ ক্যাম্পাসগুলো অধিগ্রহণের ব্যাপারে চিঠি দেওয়ার পর নির্বাচন কবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!