এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বেকার যুবক যুবতীদের স্বনির্ভর করতে বিশেষ প্রজাতির মুরগি পালনে উৎসাহ দেবে মমতার সরকার!

বেকার যুবক যুবতীদের স্বনির্ভর করতে বিশেষ প্রজাতির মুরগি পালনে উৎসাহ দেবে মমতার সরকার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহে চাকরি খুইয়েছেন অনেকেই। চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি পাওয়ার আশায় হন্যে হয়ে আছেন। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি মহকুমা এগিয়ে এসেছে। সম্প্রতি মুরগির ফার্ম গড়ে সেখানে কড়কনাথ মুরগি পালন করে বেকার যুবক যুবতীদের স্বনির্ভর করতে এগিয়ে এসেছে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর। শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় এই প্রকল্পের জন্য আত্মা প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতাও করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

কাদাকনাথ মুরগির একটি ভারতীয় জাত। একে কালো মাংসযুক্ত পাখিও বলা হয়। অন্যান্য মুরগির জাতের তুলনায় জাতের মুরগির মাংসে ০.––-১.০৩% পরিমাণ ফ্যাট রয়েছে। পুরুষ মুরগির ওজন ১.৮ কেজি – ২ কেজি এবং মেয়ে মুরগির ওজন ১.২ কেজি -১.৪ কেজি পর্যন্ত হয়। এর সর্বাঙ্গ ধূসর কালো এবং সবুজাভ রঙের মিশেলে হয় ।

ধূসর কালো রঙের পা এবং পায়ের নখ, এমনকি মাংস, হাড় এবং বাকি অঙ্গগুলিও ধূসর রঙের হয়। এগুলি মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট ও রাজস্থানের সংলগ্ন জেলার গ্রামীণ দরিদ্র মানুষ ও আদিবাসীদের দ্বারা পালিত হয়। অনেক ক্ষেত্রে কাদকনাথকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। দিওয়ালি উপলক্ষে অনেক জায়গায় এটি দেবীর উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করা হয় বলেও মনে করা হয়।

শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ি, মাটিগাড়া সহ বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় এই ধরনের মুরগির ফার্ম বানিয়ে মুরগি চাষ শুরু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, দেশীয় এই মুরগির চাষ করতে কৃষকদের ৪০০০ টাকা এবং ডিম ফোটানোর মেশিন কিনতেও ৩০ হাজার টাকা করে এককালীন আর্থিক সাহায্য সরকারি তরফ থেকে দেওয়া হচ্ছে।

শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির এক মুরগি প্রতিপালকের কথায়, তিনি এই মুরগির ডিম ২০ টাকা প্রতি পিস হিসেবে বিক্রি করেন। এছাড়াও একপিস মুরগিছানার দাম পড়ে গড়ে ১১০ টাকা। ডিম ফোটার ২১ থেকে ২৪ দিনের মধ্যে মুরগির ছানা বিক্রি করে তারা। এ কাজে মাসে গড়ে ২০ হাজার টাকার মতো আয় হয় তাঁর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শিলিগুড়ি মহকুমার এক কৃষি অধিকর্তার মতে, বেকার যুবক যুবতী ছাড়াও যেকোনো মুরগি চাষে আগ্রহী ব্যবসায়ীদের আর্থিক রোজগার বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দিতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে তাদের আয় বাড়াতে কড়কনাথ মুরগি চাষ যথেষ্ট লাভজনক বলেই প্রমাণ হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে তাদেরকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তাদের কথায় বর্তমানে দিনে প্রায় ৫০০০ দেশি মুরগির ডিম উৎপাদন সম্ভব হয়।

তবে কয়েকমাসের মধ্যে এই উৎপাদন দ্বিগুণ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে কড়কনাথ মুরগি ছাড়াও টার্কি, কোয়েল, বনরাজা, সোনালি প্রভৃতি দেশীয় মুরগির চাষেও আগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে কৃষি ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর। অন্যদিকে সাধারণ মুরগির থেকে এই প্রজাতির মুরগিতে প্রোটিনের মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে। এর মাংস ও ডিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতেও সাহায্য করে। উপরন্তু রাজ্য সরকারও এই চাষে বিশেষ গুরুত্বও দিয়েছে বলেই জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!