এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বেলপাহাড়িতে কি আবার ফিরছে হাড় হিম করা মাওবাদী সন্ত্রাস? পর্যটকদের নতুন অভিজ্ঞতায় চাঞ্চল্য

বেলপাহাড়িতে কি আবার ফিরছে হাড় হিম করা মাওবাদী সন্ত্রাস? পর্যটকদের নতুন অভিজ্ঞতায় চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালের আগে প্রায় প্রতিনিয়ত জঙ্গলমহলের লালগড় থেকে শুরু করে বেলপাহাড়ীর মানুষদের ঘুম ভাঙতো রক্ত দেখে। এমন একদিনও যায়নি, যেদিন মানুষের মৃত্যু হয়নি। মাওবাদী সন্ত্রাসে একের পর এক প্রাণ কেড়ে নেওয়ার ঘটনা কমতে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর। 2011 সালে রাজ্যে পালাবদল ঘটলে সেই জঙ্গলমহল শান্ত করতে উদ্যোগী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাওবাদীদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা থেকে শুরু করে প্যাকেজ ঘোষণা করা, বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জঙ্গলমহল থেকে মাওবাদী উপদ্রবকে কার্যত শান্ত করে দেন তিনি।

কিন্তু দশ বছর পর আবার কি নতুন করে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে মাওবাদীরা? এবার ভ্রমণে গিয়ে পর্যটকদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হল সেই মাওবাদীদের সম্মুখে পড়ে। বস্তুত, বেলপাহাড়ি থানা থেকে মাত্র 15 কিলোমিটার জুড়ে ধাঙ্গিকুসুম নামে একটি গ্রাম রয়েছে। খড়গপুর থেকে ঝাড়খন্ড লাগোয়া এই গ্রামে হুদহুদি ঝর্না দেখতে গিয়েছিলেন পর্যটকরা। আর প্রাকৃতিক নৈসর্গিক ছবি লোভ সামলাতে না পেরে পর্যটকরা তুলতে গেলেই হঠাৎ করে তাদের সামনে চলে আসে মাওবাদীদের দল। রীতিমতো আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে তারা হুমকি দেয়, “ছবি তুললেই গাড়ি চালাবো।” আর এরপর পর্যটকদের কাছ থেকে তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরবর্তীতে মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে অবশ্য জঙ্গলের গভীরে চলে যায় মাওবাদীরা। তবে পর্যটকদের এইভাবে হুমকি দেওয়া বা তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া অপেক্ষা দীর্ঘদিন জঙ্গলমহল শান্ত থাকার পর আবার এইভাবে মাওবাদীদের দেখা যাওয়ায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে কি আবার নতুন করে অশান্ত হতে পারে জঙ্গলমহল? তাই কি এভাবে এখন মাওবাদীদের আবার মাথাচাড়া দিতে দেখা যাচ্ছে? বেলপাহাড়ীর এই ঘটনায় এখন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসন প্রত্যেকের মধ্যেই মাওবাদী ত্রাস কাজ করতে শুরু করেছে। তবে পর্যটকদের সাথে মাওবাদীরা ঠিক কেমন ব্যবহার করেছে?

গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, তাদের সঙ্গে মাওবাদীরা খুব একটা খারাপ আচরণ করেনি। মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছিল এইমাত্র। পরবর্তীতে জঙ্গলে প্রবেশ করার আগে তারা আবার সেই মোবাইল ফোন দিয়ে দেয়। কিন্তু পর্যটকদের সঙ্গে মাওবাদীদের আচরণ খারাপ না হলেও, জঙ্গলমহলের বুকে মাওবাদীদের দর্শন পাওয়া যে প্রশাসনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত চিন্তার কারণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বভাবতই দীর্ঘদিন বাদে নতুন করে বেলপাহাড়ীর বুকে এই মাওবাদী সন্ত্রাস এখন নানা প্রশ্ন তুলে দিতে শুরু করেছে। মাওবাদী উপদ্রব চরম আকার ধারন করার আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!