এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এত বাংলা বিরোধী কেন বিজেপি? বাংলা ভাষায় কথা বলা তো অপরাধ নয়! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এত বাংলা বিরোধী কেন বিজেপি? বাংলা ভাষায় কথা বলা তো অপরাধ নয়! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


‘বাংলায় রাজনীতি করবে অথচ সেই বাংলাকেই ঘৃনা করবে’ – বিজেপির বিরুদ্ধে বারেবারে এইসব অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি অসমে নাগরিকপঞ্জীর তালিকা থেকে 40 লক্ষ নাগরিকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে সিংহভাগই বাঙালি। সোমবার সেই ইস্যুতে বিধানসভায় নিজের দপ্তরে বসে সেই বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন বাংলার জননেত্রী।  

ঘৃণা আর প্রতিহিংসার রাজনীতিই যে বিজেপি’র একমাত্র হাতিয়ার এদিন তা বলে রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের নেতাদেরকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ” এত বাংলা বিরোধী কেন বিজেপি? বাংলা ভাষায় কথা বলা তো অপরাধ নয়! ” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গোটা এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা এই বাংলা। পাশাপাশি গোটা বিশ্বের ক্ষেত্রে এই বাংলা ভাষা রয়েছে পঞ্চম স্থানে। তাই এই বাংলা ভাষাকে সম্মান না দেওয়ায় বিজেপির বিরুদ্ধে বঙ্গভীতি, উগ্রপন্থামূলক চিন্তাধারা,ও  প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 সাথে সাথে সৌজন্যই যে বাংলার কৃষ্টির একমাত্র মূলধন, সেটা বিজেপিকে মনে করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” আজ সোমনাথ’দা প্রয়াত হয়েছেন। মতাদর্শগত বিরোধ থাকলেও  নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তাঁকে প্রণাম করতে গিয়েছিলাম। লোকসভায় বহুবার তিরষ্কার করেছেন আমাকে। আজ দেখে কী মনে হচ্ছে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সৌজন্যতে কোনও রাজনীতি ছিল? ছিল না। এটাই বাংলা।”

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

অন্যদিকে বাংলাকে যে তাঁরা হৃদয় দিয়ে ভালোবাসেন সে কথা উল্লেখ করে কিছুটা রাজনৈতিক সুর শোনা গেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায়। তিনি বলেন,”নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ  রাজ্যকে পরবর্তী টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তাই ভয় পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী এসব বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছেন।” তবে এদিন ফের সেই এনআরসি ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বিজেপিকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” ইলিশ, জামদানি শাড়ি, মিষ্টি দই, সন্দেশ আর আম— দু’পারেই জনপ্রিয়। এদের কীভাবে চিহ্নিত করা হবে? অনুপ্রবেশকারী নাকি শরণার্থী! মানুষকে উদ্বাস্তু করার চক্রান্ত চলছে। উদ্বাস্তুদের লড়াইয়ে আমি ছিলাম, তাঁদের কষ্টটা বুঝি।”

এসবই বিজেপির ঘৃণার রাজনীতি ও বিভাজনের পন্থা বলেও এদিন উল্লেখ করেন বঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। সব মিলিয়ে গত শনিবার মেয়ো রোডের সভা থেকে বিজেপির অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করার পর তৃনমূল নেতারা পথে নামলেও দলনেত্রী এব্যাপারে কোনো মুখ খোলেননি। কিন্তু সোমবার বিজেপিকে বঙ্গবিরোধী বলে ফের গেরুয়া শিবিরের নেতাদের তুলোধোনা করলেন তৃনমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!