বাংলা ও দেশ বাঁচাতে এবার বড়সড় পদক্ষেপের পথে বামফ্রন্ট, জানালেন রাজ্য সম্পাদক পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য July 22, 2018 পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা থেকে তাঁরা অপসারিত হয়েছেন অনেক আগেই। সম্প্রতি ত্রিপুরাতেও একই চিত্র। বলা যেতে পারে রাজনীতির মানচিত্রে তাঁদের জায়গা সিকিভাগ। তবুও আশা ছাড়েননি সি পি এম নেতৃত্ব। তৃণমূল এবং বিজেপিকে সরাতে বদ্ধপরিকর হয়ে বাম শক্তি গুলিকে এক করার পথে হাঁটছে বামফ্রন্ট। তারই প্রমাণ পাওয়া গেল এদিন বামফ্রন্টের দলীয় সভায়। এদিন পুরুলিয়া শহরের হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে দলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিএম নেতা অমিয় পাত্র, সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় প্রমুখ। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। ধর্মতলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের সমালোচনা করে সূর্যবাবু বলেন বাংলাকে বাঁচাতে তৃণমূলকে হটাতে হবে এবং দেশকে বাঁচাতে বিজেপিকে হটাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে, তাই তৃণমূলকে সরাতে কোনওমতেই বিজেপিকে নেওয়া যাবে না। বাম গণতান্ত্রিক শক্তিগুলি সংগঠিত হয়ে এই কাজ করবে।তিনি আরও বলেন, ঘর পরিষ্কার রাখতে আমাদের মাঝে মাঝে ঝাঁট দিতে হয়। ঝাঁট দেওয়ার পর আমরা যে ময়লা নর্দমায় ফেলি তা ওরা নিয়ে নেয়। এতে পার্টি ছোট হওয়ার বদলে আসলে বড় হবে। প্রয়োজনে ১০০জন বা একহাজার জনকে বহিষ্কার করতে হলে তাও করব। কিছু দলীয় কর্মীর বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি এই কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কটাক্ষ করে তিনি বলেন ওঁর বলা সত্যি, যে অনেকবার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে তা সবাই জানেন। তেমনই কিছু নতুন কথা আমদানি করেছেন। এদিনও সেই রকমই কিছু বলেছেন। এনিয়ে কিছু বলার নেই। এদিন যে বিষয় গুলিতে আলোচনা হয়েছে সেগুলি হল – ৯আগস্ট জেল ভরো কর্মসূচি,পুরুলিয়া জেলার দলের সাংগঠনিক কাজকর্মের বিষয়ে, একই সঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে তীব্র আন্দোলন সংগঠিত করারও বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আপাতত জেলভরো কর্মসূচিকে সামনে রেখে ব্লকে ব্লকে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে চাইছে সিপিএম।সিপিএমের এই বক্তব্য গুলির পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলগুলির কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এ থেকে রাজনৈতিক মহলের ধারণা তবে কি আবার কোমর বেঁধে ঘুরে দাঁড়াতে চলেছে লাল শিবির? বলবে সময়! আপনার মতামত জানান -