এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পশ্চিমবঙ্গের জোট নিয়ে প্রদেশের সঙ্গে প্রথম বৈঠকেই বড় বার্তা রাহুল গান্ধীর

পশ্চিমবঙ্গের জোট নিয়ে প্রদেশের সঙ্গে প্রথম বৈঠকেই বড় বার্তা রাহুল গান্ধীর

কদিন আগেই রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয়েছে সোমেন মিত্রকে। আর এরপর থেকেই বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শুরু হয় যে, তাহলে কি সারা দেশে মোদী বিরোধীতায় যখন এক পথে হাটছেন রাহুল গান্ধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই বাংলাতেও সেই এক স্ট্র্যাটেজি ধরে রাখতে তৃনমূলের সাথে জোট করতেই প্রবল মমতা বিরোধী অধীরকে সরিয়ে আনা হল সোমেন মিত্রকে? কিন্তু এমনটার মধ্যে কোনোকিছুই যে ঠিক নয় তা বাংলার নতুন প্রদেশ নেতৃত্বের সাথে এক বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

অনেকেই ভেবেছিল, অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে সোমিন মিত্রকে এনে রাহুল গান্ধী বাংলায় আগামী লোকসভায় তৃনমূলের কাছে জোট প্রস্তাব নিয়ে যাবেন! কিন্তু তা না করে গতকাল দিল্লিতে অনুষ্টিত এক বৈঠকে সেই রাহুল গান্ধী রাজ্যের ঘাড়েই সমস্ত বল ঠেলে দিয়ে জানান, “লোকসভায় লড়ার স্ট্র্যাটেজিতে রাজ্যকে কিছুই চাপিয়ে দেওয়া হবে না।”

সূত্রের খবর, এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন ও বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং সোমেন মিত্র, ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য,  রাজ্য কংগ্রেসের চারজন কার্যনির্বাহী সভাপতি দীপা দাশমুন্সি, নেপাল মাহাত, আবু হাসেম খান চৌধুরী, শঙ্কর মালাকার এবং প্রদেশ ইস্তেহার কমিটির চেয়ারম্যান অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও ছিলেন বাংলার পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে রাহুল গান্ধী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আপনাদের এখন কঠিন পরিস্থিতি। একদিকে তৃনমূল আর অন্যদিকে বিজেপি। তাই এখন সংগঠন কিভাবে মজবুত করা যায় সেদিকেই নজড় দিন।”

পাশাপাশি বাংলার নেতৃত্বকে বাড়তি অক্সিজেন দিয়ে আগামী 2 অক্টোবর থেকে 19 নভেম্বর যে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচী নিয়েছে কংগ্রেস তাতে তিনি নিজেও থাকতে পারেন বলে জানান রাহুল গান্ধী। আর এরপরেই সেই কংগ্রেস সভাপতিকে দুর্গাপুজোয় কোলকাতায় আসার আহ্বান জানান প্রদেশ নেতৃত্বরা। জানা গেছে, আসন্ন শারদোৎসবে যে কোনোও দিন কোলকাতার কলেজ স্কোয়ারের পুজো মন্ডপে হাজির হতে পারেন রাহুল গান্ধী। এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে বসানোর পর থেকেই প্রবল দ্বন্দ্বে দ্বিধাবিভক্ত বিধান ভবন।

এদিন সেই দ্বন্দ্ব ভুলে সকলকে একযোগে কাজ করার নির্দেশ দেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অন্যদিকে এদিনের এএ বৈঠকে প্রদেশ সভাপতি পদে তাঁকে সরানো হলেও তিনি মিডিয়া মারফত সব জানতে পেরেছেন বলে রাহুল গান্ধীকে অভিযোগ জানান অধীর চৌধুরী। কেন এমনটা হল সেই ব্যাপারে বাংলার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈয়ের কাছে ব্যাখাও চান রাহুল গান্ধী। পরে অধীর চৌধুরীর সাথে আলাদা করে কথা বলেন তিনি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বঙ্গ প্রদেশ নেতৃত্বের সাথে হাইকমান্ডের বৈঠক থেকে ঠিক কী বার্তা উঠে এল! এই প্রশ্নের উত্তরে বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “জোট নিয়ে দলের ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না বলেই জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সবাইকে সংগঠন মজবুত করতে বলেছেন।” রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রদেশ কংগ্রেসে কেউ বামেদের সাথে আবার চেউ বা তৃনমূলের সাথে জোট করে লড়ার পক্ষপাতী। তাই কাউকেই না চটিয়ে এদিন সেই জোটের ব্যাপারটি বঙ্গ নেতৃত্বকেই ঠিক করার নির্দেশ দিয়ে এক সুক্ষ্ম রাজনৈতিক চাল দিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!