বাংলায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপে জারি হবে রাষ্ট্রপতি শাসন? জল্পনা বাড়ালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র জাতীয় রাজ্য July 16, 2018 রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিচালিত সরকার সম্পর্কে সমালোচনা করে রাজ্যে দলের অবস্থান পাকা করতে উদ্যোগী হলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র বিজয় সোনকার শাস্ত্রী। এদিন কলকাতায় দলের সদর দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শাস্ত্রী বললেন, ” রাজ্যে দলিতদের সুরক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ মমতার সরকার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে এখনও পর্যন্ত বিজেপির ১২ জন দলিত কর্মী খুন হয়েছেন। কিন্তু পুলিস একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ” এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের জন্যে লজ্জাজনক বলেও দাবি করেন তিনি। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। বিজেপির এই মুখপাত্রের মতে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসনগুলিতে বিজেপি বড় সাফল্য পেয়েছে। এই অংশের মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করায় হতবাক হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করে তিনি বললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন তফসিলি জাতিভুক্ত অংশের শিশুরা স্কুলে যায় স্ট্রাইপেন্ড (ভাতা) নেওয়ার জন্য। তৃণমূল মহাসচিবের এই বক্তব্য গোটা তফসিলি জাতি তথা দলিত সমাজের প্রতি চরম উপহাস। একইসাথে এ রাজ্যে মুসলিম-দলিতরা একজোট হচ্ছে জানিয়ে তিনি এই ঘটনাকে অশুভ রাজনৈতিক জোট বলেও দাবি করলেন। এদিনের বৈঠকে সাংবাদিকেরা তাঁকে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে পরপর দলিতদের উপর কেন আক্রমণ হচ্ছে কেন জানতে চাইলে প্রথমে সুকৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও পরে তিনি কার্যত চাপের মুখে পড়েই বললেন , বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দলিতদের উপর এমন ঘটনা ঘটে থাকলে সেখানেও তিনি রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানাবেন। বাংলায় কি এই অজুহাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চলেছে বিজেপি জল্পনা তুঙ্গে। এদিকে বিজেপি দলের এই জাতীয় স্তরের নেতার বক্তব্যের জবাবে তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস দলের শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের মন্ত্রী বললেন, ” নেই কাজ তো খই ভাজ দশা বিজেপির। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় সহ অন্যান্য রাজ্যে দলিতদের উপর প্রতিদিন-প্রতিঘণ্টায় অত্যাচার করছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। দলিত মহিলাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, পুরুষদের খুন করা হচ্ছে, বাক-স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের উপর আঘাত করা হচ্ছে। আর বাংলায় এসে ওরা বড় বড় কথা বলছে।” শুধু তাই নয় একই সাথে তিনি দাবি করে বললেন , ” পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু, মুসলিম, দলিত সহ সব সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার সুরক্ষিত। নরেন্দ্র মোদির বুকের পাটা থাকলে বিজেপি শাসিত যেসব রাজ্যে দলিতদের উপর আক্রমণ হচ্ছে, সেই সরকার ফেলে দিক। তবে বুঝব বাপের ব্যাটা।” আপনার মতামত জানান -