এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শুধু বাংলার সাফল্যই নয়, কেন্দ্রকেও পথ দেখানো ইশতেহার প্রকাশ করে চমকে দিল তৃণমূল

শুধু বাংলার সাফল্যই নয়, কেন্দ্রকেও পথ দেখানো ইশতেহার প্রকাশ করে চমকে দিল তৃণমূল

বাংলা হয়েই তিনি যে দিল্লি যেতে চান তা বারে বারেই নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সরিয়ে বিরোধী মহাজোট দলগুলোকে নিয়ে তার অভিমুখ যে সেই দিল্লির দিকেই তা ফের আরও একবার নিজের দলের ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠান থেকে স্পষ্ট করে দিলেন তৃনমূল সুপ্রিমো।

বস্তুত, তৃণমূলের তরফে এই ইশতেহার প্রকাশের আগে সেই ইশতেহারে ঠিক কি কি বিষয় নিয়ে কথা থাকবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। মূলত বিগত 7 থেকে 8 বছর এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের আমলে ঠিক কি কি উন্নয়ন হয়েছে এবং অন্যদিকে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের অনুন্নয়নের কথা তুলে ধরাই তৃণমূলের এই ইশতেহারে প্রধান দিক হিসেবে উঠে আসবে বলে মনে করেছে রাজনৈতিক মহল।

আর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সেই মতকে মান্যতা দিয়ে একদিকে রাজ্যের উন্নয়ন, আর অন্যদিকে দেশে বিজেপি সরকারের আমলে ব্যর্থ হওয়া ঘটনাগুলি নতুন সরকার আসলে সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হবে বলে নিজেদের ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, নোট বাতিল নিয়ে তদন্ত, নীতি আয়োগ তুলে দিয়ে যোজনা কমিশন ফিরিয়ে আনা, জিএসটি আলোচনার সাপেক্ষে বদল এবং 100 দিনের কাজকে 200 দিনে রূপান্তরিত করে ভাতার পরিমাণ দ্বিগুণ করার প্রস্তাব নিজেদের ইশতেহারে তুলে ধরেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। মূলত সারা ভারতবর্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার এই 100 দিনের কাজে বাংলা সেরার সেরা তকমা নিয়েছে। আর এদিন সেই কথাকেই তুলে ধরে দেশে ক্ষমতায় আসলে সেই 100 দিনের কাজকে 200 দিনে করা হবে বলে নিজেদের ইশতেহারে উল্লেখ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাশাপাশি এই 100 দিনের কাজ প্রকল্পের দৈনিক ভাতা 191 টাকা থেকে বাড়িয়ে তা দ্বিগুণ করার প্রস্তাবও তৃণমূলের এই নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এদিনের এই ইশতেহার প্রকাশের সাংবাদিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ চালু করা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃনমূল নেত্রী বলেন, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যোজনা কমিশনের প্রথম প্রবক্তা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সেই ধারণাকে ভেঙে নীতি আয়োগ কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তাই আমাদের সরকার যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে যোজনা কমিশন ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়ে আসা হবে।”

অন্যদিকে জিএসটি নিয়েও কেন্দ্রকে প্রবল ভাষায় বিধেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নতুন রাজ্য গঠনে বিবেচনা, দেশের সমস্ত গ্রামে ব্যাংক শাখা রাখার কথা এবং জোর করে জমি অধিগ্রহণ না করার মত কথাও নিজেদের ইস্তেহারে রেখেছে তৃণমূল বলে জানা গেছে। এদিকে এদিনের এই ইশতেহার প্রকাশের অনুষ্ঠান থেকে ফের আর একবার কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, “মোদি সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছে। নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে মানুষের মঙ্গলের জন্য যা লাগে সেটাই করা হবে।” সব মিলিয়ে এবার নিজের দলের ইশতেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে বাংলায় বিগত সাত থেকে আট বছরে তৃণমূল সরকার যা কাজ করেছে, সারাদেশে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যদি সেই বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলো মিলে সরকারে আসে, তাহলে বাংলার উন্নয়নেই দেশের উন্নয়নের মানচিত্র গড়ে তোলা হবে বলে নিজেদের ইশতেহারে প্রকাশ করে আসন্ন নির্বাচনে তার মূল টার্গেট যে দিল্লী তা ফের আরও একবার প্রমান করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!