এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এবার বিজেপিতে শুরু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অনুপস্থিত দলীয় নেতারা, জল্পনা তুঙ্গে

এবার বিজেপিতে শুরু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অনুপস্থিত দলীয় নেতারা, জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভালো ফলাফল করার পর থেকেই বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যেন-তেন প্রকারেণ বাংলার ক্ষমতা দখল করতে অমিত শাহ বাড়তি নজর দিয়ে বাংলায় পাঁচ নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সংগঠনকে চাঙ্গা করার নির্দেশ দেওয়া হলেও, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন সবথেকে বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির কাছে। সূত্রের খবর, এবার জলপাইগুড়ি জেলায় তপশিলি জাতির মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল জেলা বিজেপি নেতাদের। জানা গেছে, এদিন বিজেপি তপশিলি জাতি মোর্চার তরফে পান্ডাপাড়া এলাকায় একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তপশিলি মোর্চার সভাপতি কুমার জিতেন্দ্র নারায়ন। কিন্তু এই বৈঠকে জেলা বিজেপির সভাপতি সহ অন্যান্য নেতারা অনুপস্থিত থাকায় নিঃসন্দেহে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

 

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, যেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে বাংলাকে নিজেদের দখলে আনবার জন্য নানা পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেখানে দলের এই কর্মসূচিতে কেন মূল সংগঠনের নেতারা অনুপস্থিত থাকলেন! তাহলে কি নেতাদের এই অনুপস্থিতি কার্যত প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, দলে এখনও পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে সকলে চলতে পারছেন না! আর তার কারণেই তপশিলি জাতি মোর্চার বৈঠকে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল বিজেপির জেলা সভাপতি সহ অন্যান্য নেতাদের! এখন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই আশঙ্কা করছেন, যদি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে আগামী দিনে বিজেপির পক্ষে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা ব্যাপক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কেননা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব হোক বা বাংলার নেতারা সমস্ত রকম রণনীতি করলেও, জেলার নেতাদের মধ্যে যেভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, তাতে এই সমস্যা যদি অচিরেই সমাধান না করা যায়, তাহলে তৃণমূলকে কি করে কুপোকাত করবে ভারতীয় জনতা পার্টি, তা নিঃসন্দেহে সংশয়ের বিষয় বিশেষজ্ঞদের কাছে।

 

 

পর্যবেক্ষকদের মতে, ইতিমধ্যেই বাংলার জন্য অমিত শাহ পাঁচ সর্বভারতীয় নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। সেখানে সংগঠনকে শক্তিশালী করা থেকে শুরু করে কিভাবে পথ চলতে হবে, সেই ব্যাপারে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করা পাঁচ নেতা এবার বাংলায় ঘাঁটি গেড়ে থাকবেন বলে খবর। অর্থাৎ তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক আগামী দিনে বিজেপি রাজ্যে নানা কর্মসূচি পালন করবে। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব এই পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও, জলপাইগুড়ি জেলায় বিজেপির কর্মসূচিতে যেভাবে দলের জেলা সভাপতি এবং অন্যান্য নেতারা উপস্থিত থাকলেন, তা নিঃসন্দেহে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আশঙ্কা করছেন একাংশ। যদিও বা এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে রাজি হননি জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি। কিন্তু যেভাবে তপশিলি জাতি মোর্চার মিটিংয়ের সংগঠনের সভাপতি অনুপস্থিত থাকলেন, তা প্রধান প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের অন্দরমহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!