এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলায় বিজেপির সংগঠন বিস্তারে অমিত শাহের ভরসা এবার ‘গুজরাট-মডেল’

বাংলায় বিজেপির সংগঠন বিস্তারে অমিত শাহের ভরসা এবার ‘গুজরাট-মডেল’

বেশ কিছুদিন আগেই জাতীয় বিজেপি সুপ্রিমো বাংলায় জনসভা করে লোকসভা ভোটে ২২ টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছিলেন রাজ্যবিজেপিকে। সেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দিলীপ ঘোষ-রাহুল সিনহারা কাজ করছে কিনা তা বারবার খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র। কখনো কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রতিনিধি এসে রাজ্যের গেরুয়াশিবিরের কার্যকলাপ তদারক করে যাচ্ছেন,কখনো আবার রাজ্য বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে দিল্লীতে। বারবার জোর দিতে বলা হচ্ছে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে। এমনকি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দমন করার কড়া নিদানও রয়েছে শাহ-এর তরফ থেকে। তবে এবার বাংলার বিজেপি নেতাদের লোকসভা ভোটের রণনীতির পাঠ দিতে গুজরাত থেকে বাছাই করা বিজেপি নেতাদের পাঠানো হচ্ছে বাংলায়। পুজোয় পরেই তাঁরা রাজ্যে আসতে পারে,এমনটাই বিজেপি সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে।

বুথ স্তর থেকে শক্তিকেন্দ্র সবর্ত্রই বঙ্গ বিজেপির প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গুজরাতের তিন জন বিজেপি শীর্ষ নেতা অমিত থক্কর,প্রদীপসিং বাঘেলা এবং পৃথ্বীরাজ প্যাটেলকে বাংলায় পাঠাতে পারেন শাহ। লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রাজ্য বিজেপির সংগঠন কতোটা পোক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে অমিত শাহের এই নয়া পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ গুজরাতে বিজেপি সবথেকে শক্তিশালী স্থানে রয়েছে এই মুহূর্তে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গুজরাতের লাগাম ধরে রয়েছে বিজেপি। তাই গুজরাতের মডেলে বাংলার সাংগঠনিক শক্তির বিস্তার চাইছেন জাতীয় বিজেপি সভাপতি। তাঁর এই উদ্যোগ বুঝিয়ে দিয়েছে, লোকসভা ভোট জয়ের জন্য কেন্দ্র কতোটা নির্ভর করে রয়েছে বাংলার উপর।

রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে, একসময় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০ জন বিজেপি কর্মকর্তাদের গুজরাতে পাঠানো হয়েছিল দলীয় শক্তিবৃদ্ধির কৌশল শেখাতে। পাঠানো হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। সম্ভবত তার পাল্টা দিতেই বাংলায় গেরুয়া শিবিরের উত্থান কোন পথে যাচ্ছে সেই প্রশিক্ষণ দিতে গুজরাতের নেতাদের এবার বাংলায় পাঠানো হচ্ছে। ওই রাজ্য থেকে যা শিখে আসা হয়েছিল তার ঠিক কতোটা বাস্তবায়ন ঘটানো গিয়েছে সেটাই চাক্ষুস করতে আসছেন গুজরাতের হেভিওয়েট বিজেপি নেতারা। এমনটাই জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা। এ ব্যাপারে বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা দলের পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত নেতা সুরেশ পূজারি জানান, ২২ লোকসভা আসন দখলের লক্ষ্যে বাংলায় বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির কাজ কতোটা মসৃণভাবে এগোচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখতেই গুজরাতের দলীয় প্রতিনিধিরা আসছেন। কোথায় কোনো খামতি দেখতে তাঁরা সেটা শুধরে দেবেন। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ (৬ জন) এবং ঝাড়খন্ড থেকে বাছাই করা বিজেপি নেতারা বাংলায় পর্যবেক্ষক হিসাবে কাজ করছেন। দলীয় কর্মীরা রাজ্যের সবকটি লোকসভা এবং বিধানসভা আসনে নজরদারি করছেন সংগঠনের ভীত মজবুজ করার খাতিরে। সময় যত এগোবে এরকম উদ্যোগ আরো বাড়বে বলেই জানালেন তিনি।

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গত,সম্প্রতি দিল্লিতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ২ দিনের বৈঠকে বসেছিলেন জাতীয় বিজেপি সুপ্রিমো। সেখানেই বারবার বুঝিয়েছেন ১০০% বুথ কমিটি এবং শক্তিকেন্দ্র গঠনই বিজেপির একমাত্র টার্গেট এখন। সাংগঠিক শক্তি বৃদ্ধির প্রসঙ্গে যাবতীয় রণকৌশল বুঝিয়েছেন তিনি রাজ্যনেতৃত্বদের। তাছাড়া, এই মুহূর্তে বঙ্গে ৭০% বুথ গঠন সম্ভব হয়েছে আর শক্তি কেন্দ্র তৈরি হয়েছে ৮০%। এমনটাই জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়রা। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যাবতীয় বকেয়া কাজ মিটিয়ে ফেলার কড়া নিদান দিয়েছেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এ নিয়ে রাজ্য বিজেপির শিবিরে কর্মতৎপতা তুঙ্গে রয়েছে এই মুহূর্তে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!