বাংলায় বিজেপিকে শুধু আন্দোলনের পার্টি হলেই চলবে না! বিস্ফোরক হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ! কলকাতা রাজ্য May 16, 2020 আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে বড় টার্গেট। যেন-তেন প্রকারেণ তৃণমূল কংগ্রেসকে সরিয়ে 2021 এ বাংলার ক্ষমতা দখল করতে উদ্যোগী তারা। তার জন্য ইতিমধ্যেই নানা সময় ময়দানে নেমে পড়তে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মাঝে মধ্যেই সরকারের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। কথায় কথায় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তারা রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলবে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে বিজেপির তরফে। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্বরা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলার কথা বললেও, এবার সেই ব্যাপারে কিছুটা ভিন্ন সুর শোনা গেল রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ তথা বঙ্গসন্তান স্বপন দাশগুপ্তের গলায়। এক্ষেত্রে বিজেপিকে যে অন্যভাবে পথ চলতে হবে, তা তুলে ধরেন তিনি। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেভেলপমেন্ট অফ বেঙ্গল আয়োজিত আলোচনা সভার মূল বিষয়বস্তু ছিল “কোভিড ১৯ এবং পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ।” আর সেখানেই বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বপন দাশগুপ্ত এবং রন্তিদেব সেনগুপ্ত। আর এই অনুষ্ঠানেই করোনা মোকাবিলা নিয়ে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করার পাশাপাশি বিজেপিকে কিভাবে পথ চলতে হবে, তা নিজের কথার মধ্যে দিয়ে তুলে ধরেন স্বপনবাবু। তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ বিকল্প চাইছেন, নতুন দিশায় কি ধরনের রাজনীতি করা যায়, তা ভাবার সময় এসেছে। এই রাজ্যে বিজেপিকে শুধু আন্দোলনের পার্টি হলেই চলবে না। খালি বিরোধিতা নয়, একটা বিকল্প নীতিও তৈরি করতে হবে। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কি ধরনের বিকল্প অর্থনীতি তৈরি করা যায়, তা ভাবতে হবে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর স্বপন দাশগুপ্তের এই কথাতেই এখন তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনেকে বলছেন, বিজেপি বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে ঠিকই। বিগত লোকসভা নির্বাচনেও তারা ভাল ফলাফল করেছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সরাতে গেলে এবং মানুষের মনে বিজেপি সম্পর্কে বিশ্বাস স্থাপন করতে গেলে বাংলার উন্নয়ন এবং অর্থনীতি সম্পর্কে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট হওয়া জরুরি। আর সেকথাই তুলে ধরে বিজেপিকে যে শুধু আন্দোলনের পার্টি হলে চলবে না, তা এই আলোচনার পটভূমি থেকে ব্যাখ্যা করলেন স্বপন দাশগুপ্ত। অনেকেই বলছেন, স্বপনবাবু বর্তমান বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের পদ্ধতি নিয়েও এর ফলে প্রশ্ন তুলে দিলেন। এদিন রেশনে দুর্নীতি থেকে শুরু করে করোনায় তথ্য গোপন, এই সমস্ত বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, “করোনাকে হালকাভাবে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভেবেছিলেন এটা সাইক্লোন বা বন্যার মত। কিছুদিন পরে চলে যাবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হননি মুখ্যমন্ত্রী বরং কোণঠাসা হয়েছেন। তৃণমূল আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। কি ধরনের বিকল্প মানুষ চাইছেন, তা ভাবতে হবে। আমরা যেন দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে উঠতে পারি।” এদিকে বর্তমানে লকডাউন চলার কারণে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংকটজনক হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু তার ফলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনো দিশা নেই বলেও তৃণমূলকে এদিনের সভায় থেকে আক্রমণ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা বিজেপি নেতা রন্তিদেব সেনগুপ্তও। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এদিনের এই সভা থেকে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত তৃণমূলকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি বিজেপি কিভাবে সাফল্য পাবে, তার পথ বাতলে দিলেন। তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, শুধুমাত্র বিরোধিতা করে সাফল্য পাওয়া যাবে না। তার কথায় উঠে এল আগে মানুষের মনে বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। আর তাই নাম না করে বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বের পথ চলা নিয়ে তার বক্তব্যে প্রশ্ন উঠে এল বলেই মত রাজনৈতিক সমালোচকদের। আপনার মতামত জানান -