এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাংলায় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব কি বদলাচ্ছে? নভেম্বরে অমিত শাহের বৈঠকের পরই চূড়ান্ত চিত্র

বাংলায় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব কি বদলাচ্ছে? নভেম্বরে অমিত শাহের বৈঠকের পরই চূড়ান্ত চিত্র

 

এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির 18 টা আসন পাওয়ার পেছনে দিলীপ ঘোষের যথেষ্ট অবদান রয়েছে বলে মনে করেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। 2015 সালে বঙ্গের রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষ দায়িত্ব পাওয়ার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। আর যার পরে ধীরে ধীরে এক পা দু পা চলতে চলতে যে বাংলায় বিজেপির বিন্দুবিসর্গ কিছু ছিল না, সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে গেরুয়া শিবির।

শুধু তাই নয়, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিপুল আসন দখল করে এখন তৃণমূলের চিন্তা বাড়িয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচন তাদের টার্গেট বলে দাবি করে প্রবল লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একজন সভাপতির তিন বছরের মেয়াদ থাকলেও দীলিপবাবুর ক্ষেত্রে সেই মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় তিনিই রাজ্য সভাপতি থাকবেন, নাকি বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে! তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

অনেকে বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র দেড় বছর বাকি রয়েছে। তাই এই সময়ে দীলিপবাবুকে যদি রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে অন্য কাউকে নিয়ে আসা হয়, তাহলে তা কতটা সুখকর হবে সংগঠনের পক্ষে, সেই ব্যাপারে কোনো গ্যারান্টি দেওয়া যাচ্ছে না।

আবার একাংশের মতে, বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দিলীপ ঘোষের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। আর সেক্ষেত্রে তার বদলে অন্য কাউকে না আনলে সংগঠনের নিয়মে ধাক্কা খাবে। কিন্তু বাস্তবটা ঠিক কি বলছে! দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দিলে সংগঠনের ভালো হবে নাকি খারাপ! এখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আগামী নভেম্বর মাসে বাংলার বিজেপির শীর্ষ নেতাদের দিল্লিতে বৈঠকে ডাকতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলে খবর পাওয়া গেল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি এবং সংগঠনের হাল-হকিকত এবং রাজ্যস্তরের সাংগঠনিক রদবদল নিয়েই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এই বৈঠকে আলোচনা করতে পারেন। অনেকে বলছেন, 2015 সালে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া দিলীপ ঘোষের মেয়াদ 2018 সালে শেষ হলেও বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুটি টার্ম তিনি তার পদে থাকতে পারেন। তাই 2019 সালের লোকসভা নির্বাচন থাকায় আর দিলীপ ঘোষকে তার পদ থেকে সরায়নি বিজেপি।

বর্তমানে বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন চলছে। তারপর মন্ডল এবং জেলাস্তরের নির্বাচন শেষে রাজ্যস্তরে সাংগঠনিক নির্বাচন পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তার আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বুঝে নিতে চাইছেন, বাংলার সংগঠনের হাল-হকিকত। কিন্তু কেন হঠাৎ দিলীপ ঘোষের রাজ্য সভাপতি পদ নিয়ে দলের একাংশের সংশয় প্রকাশ পেতে শুরু করল!

বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, সম্প্রতি মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপি কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে। তাই বাংলাতে যাতে এর কোনো প্রভাব না পড়ে এবং আগামী 2021 সালের বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে যাতে দল ভালো ফল করতে পারে, তার জন্য এখন বিজেপি সমস্ত চেষ্টা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ফলে সেদিক থেকে যদি দিলীপ ঘোষকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বিজেপি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে যে তা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত দলের একাংশ।

কিন্তু আদৌ কি রাজ্য স্তরের সংগঠনের কোনো পরিবর্তন আসবে! এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি সহনেতা সুরেশ পূজারী বলেন, “বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কাউকে মুখ করে লড়বে না। নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ হলে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” অর্থাৎ সুরেশ পূজারী বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, কাউকে নির্দিষ্টভাবে মুখ না করার কথা ঘোষণা করে তাদের কাছে বঙ্গ জয়ই এখন প্রধান লক্ষ্য।

আর তাই সেই জয় আনতে, সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে এখন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর ডাকা বৈঠকে আগামী নভেম্বরে বাংলার সংগঠনে কোনো পরিবর্তন আসে, নাকি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই বঙ্গ বিজেপি পথ চলে, এখন সেদিকেই নজর গোটা রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!