বাংলায় বিজেপিকে ঠেকাতে মমতার অস্ত্র হতে চলেছেন একদা মোদিকে ক্ষমতায় আনার অন্যতম “মাস্টারমাইন্ড” কলকাতা রাজ্য June 7, 2019 এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে 42 টি লোকসভা আসন দখলের স্লোগান দিলেও বাস্তবে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। উল্টে এই রাজ্যে তৃণমূলের যেমন আসন সংখ্যা কমেছে, ঠিক তেমনই বিজেপি 2 থেকে বাড়িয়ে তাদের আসন সংখ্যা 18 করে নিয়েছে। অপরদিকে রাজ্যে তৃণমূলের এই ভরাডুবির পর একদিকে দিকে অনেক পঞ্চায়েত প্রধান, কাউন্সিলার এবং তৃণমূলের অনেক বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছেন। আর দলের এই ভাঙন রোধ করতে এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যাতে রাজ্যে ভালো ফল করা যায় তার জন্য এবার একসময়ে দেশে নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতায় আনার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ভোটগুরু হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরকে নিজেদের পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করল তৃণমূল। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নবান্নে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দু’ঘণ্টা বৈঠক করেন এই প্রশান্ত কিশোর। আর সেখানেই দলের রাজনৈতিক রণকৌশল নির্ধারণের দায়িত্ব প্রশান্ত কিশোরের হাতে তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, তাঁর সংস্থা “ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি” আগামী এক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করা দেবে। মূলত নির্বাচনে কিভাবে সফলতা পাওয়া যাবে, কোন পন্থায় চলতে হবে, বক্তব্যে কোন কোন বিষয় তুলে ধরতে হবে এই সমস্ত বিষয়ই ঠিক করবেন এই ভোটগুরু। কিন্তু কে এই প্রশান্ত কিশোর? কেন তাকে দলের ভোট বৈতরণী পার হতে দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা যায়, 2011 সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কর্মী হিসেবে পরিচিত এই প্রশান্ত কিশোরকে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি রাজনৈতিক নীতি নির্ধারক হিসেবে নিয়োগ করেছিল। আর তাঁর হাত ধরেই প্রবল প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া সত্ত্বেও তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। একইভাবে 2014 সালেও দেশজুড়ে মোদি হাওয়া তৈরীর জন্যও অনবদ্য ভূমিকা ছিল এই প্রশান্ত কিশোরের। হর হার মোদি, ঘরঘর মোদির মতো স্লোগান তৈরি করে নরেন্দ্র মোদিকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যেতেও অনেকটাই সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, নীতিশ কুমার থেকে লালুপ্রসাদ যাদব, পাঞ্জাবের অমরিন্দর সিং থেকে কংগ্রেসের জগন্মোহন রেড্ডি প্রত্যেকেই এই প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরে সাফল্য পেয়েছেন বলে জানা গেছে। আর লাগাতার সাফল্য পাওয়া এই প্রশান্ত কিশোরকে এবার বাংলায় গেরুয়া ঝড়কে মুছে দিয়ে সবুজ ঝড় তুলতে তাকেই দলের নীতিনির্ধারণের ভূমিকায় বসালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সমালোচকরা অবশ্য বলছেন, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় নীতি নির্ধারণ করতেন তাকেই এখন প্রশান্ত কিশোরের সাহায্য নিতে হচ্ছে। ফলে বাংলায় যে আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ভাবমূর্তি নেই তা বুঝে গেছেন সকলেই বলে দাবি একাংশের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রশান্ত কিশোরকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার অভিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে পারেন কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -