এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > “আমি সর্বস্ব” বঙ্গ বিজেপিকে একতার মন্ত্রে বেঁধে একুশের যুদ্ধে যেতে কোমর বাঁধলেন শাহ-নাড্ডা

“আমি সর্বস্ব” বঙ্গ বিজেপিকে একতার মন্ত্রে বেঁধে একুশের যুদ্ধে যেতে কোমর বাঁধলেন শাহ-নাড্ডা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এ পশ্চিমবঙ্গে দলকে ক্ষমতায় আনাই এখন প্রধান লক্ষ্য ভারতীয় জনতা পার্টির। কিভাবে দলকে সাফল্য পাওয়ানো যায়, তা নিয়ে দফায় দফায় বঙ্গ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি দিল্লিতে বাংলাকে নিয়ে বৈঠক করা হলেও সেখানে বিজেপি নেতাদের মধ্যে অন্তর্কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। মুকুল রায় প্রথম দিকে সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও পরবর্তীতে তিনি দিল্লির বৈঠক ছেড়ে চোখের অপারেশনের কারণ দেখিয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন।

ফলে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল, মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দূরত্ব তৈরি হওয়ার কারণেই এই রকম ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। যদি অবিলম্বে এই দূরত্ব না মেটানো সম্ভব হয়, তাহলে দল কিভাবে সাফল্য পাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। তবে দিলীপ ঘোষ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরতেই মঙ্গলবার সকালে যে বৈঠক তার বাড়িতে অনুষ্ঠিত হল, তাতে বিজেপি আগামীদিনের রণনীতির ছক কষে ফেলেছে বলে মনে করতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, দিলীপ ঘোষের বাড়িতে এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায়ের মতো নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। অনেকে বলছেন, দিলীপ ঘোষকে দিল্লিতে ডেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বৈঠক করে কার্যত জানিয়ে দিয়েছেন যে, সকলকে নিয়ে চলতে হবে। অর্থাৎ মুকুল রায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলেও তা যে কোনোমতেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব মানবে না, এখন যে তাদের প্রধান টার্গেট পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসা, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই ব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, “নাড্ডাজীর সঙ্গে বৈঠকে কোনো ব্যক্তি বিশেষকে নিয়ে আলোচনা হয়নি। তবে মুকুল রায় সিনিয়র নেতা। তিনি একজন কেন্দ্রীয় নেতা। তাকে নিয়ে নিশ্চয়ই নেতৃত্বের কোনো ভাবনা রয়েছে। তিনি কি কাজ করবেন বা তাকে কিভাবে কাজে লাগানো হবে, সেটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করবে। রাজ্য নেতৃত্বের এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। এটা রাজ্যের বিষয় নয়। সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।” আর দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য থেকে কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখন চাইছে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে।

‌প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একসময় এই দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, বাংলায় পরিবর্তন আনতে তিনি একাই সক্ষম। তার কাউকে লাগবে না। আর অমিত শাহের এই মন্তব্য নিয়ে বিজেপির অন্দরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। যেখানে বিজেপি সাংগঠনিক দল হিসেবে পরিচিত, সেখানে দিলীপ ঘোষ কেন নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে এই ধরনের কথা বললেন! তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। আর তার পরবর্তীতে দিল্লিতে সেই দিলীপবাবুকে ডেকে তাকে সমঝে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলে মনে করা হচ্ছে। যার ফলস্বরুপ দিল্লি থেকে কলকাতা ফেরার সাথে সাথেই মুকুল রায় সহ অন্যান্যদের নিয়ে নিজের বাড়িতে বৈঠক করলেন দিলীপ ঘোষ।

অর্থাৎ এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই পক্ষের বিবাদ অনেকটাই কমবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলার পরিবর্তন আনতে বিজেপি যে এখন নিজেদের সমস্ত দ্বন্দ্বকে ভুলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নেতাদের লড়াই করার নির্দেশ দিচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ফর্মুলা কতটা মানেন রাজ্য বিজেপি নেতারা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!