এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘বাংলা নৌকার মত!’ বন্যা পরিস্থিতির দায় কেন্দ্র ও ডিভিসির ওপর আবার চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী

‘বাংলা নৌকার মত!’ বন্যা পরিস্থিতির দায় কেন্দ্র ও ডিভিসির ওপর আবার চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী


একই পুজো। তার ওপর গোদের উপর বিষফোঁড়া হিসেবে বন্যার ভ্রুকুটি দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ উমার আগমনে যখন নতুন জামাকাপড় পড়ে আনন্দ-উৎসবে ভাসতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই নিম্নচাপের অসুর চোখ রাঙানোয় পশ্চিমবাংলার অনেক জেলাতেই দেখা দিয়েছে বন্যা। ব্যাপক পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ায় ইতিমধ্যেই ডিভিসি প্রচুর জল ছেড়ে দিয়েছে। যার কারণে রাজ্যের মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং হাওড়া জেলার মত বেশ কিছু এলাকায় সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আর এবার পুজোর মরশুমে এইভাবে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় ডিভিসির জল ছাড়াকেই দায়ী করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার নেতৃত্বে এই বন্যা রোধের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীতিমতো ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় তাকে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এই সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের অফিসারেরা।

তবে শুধু মনিটরিং সেল গঠন করাই নয়, এদিনের বৈঠক থেকে হাওড়া জেলার দায়িত্ব অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে, হুগলি জেলায় ফিরহাদ হাকিমকে, মালদহে জাভেদ খান, গোলাম রব্বানীকে, মুর্শিদাবাদ জেলায় শুভেন্দু অধিকারীকে, মেদিনীপুর জেলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মলয় ঘটককে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বেশি বৃষ্টির কারণে আমাদের রাজ্যে খুব একটা বন্যা হয় না। কিন্তু বিহার, ঝাড়খণ্ডে বেশি বৃষ্টি হলে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে ডিভিসি জল ছাড়লেই আমাদের এখানে বন্যা হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা ঠিকমতো ড্রেজিং করে না। নদীর গভীরতা কমে এসেছে, যার ফলে আমাদেরকে ভুগতে হয়। বাংলা অনেকটা নৌকোর মত। নেপাল-ভুটান ঝাড়খন্ডে বেশি বৃষ্টি হলে পশ্চিমবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অনেকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবুও রাজ্যকে না জানিয়ে ডিভিসি জল ছাড়ছে।”

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!