এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা রুখতে মুখ্যমন্ত্রীকে বড়সড় সাহায্যের আশ্বাস ইমামদের! প্রশংসার বন্যা সর্বত্র

করোনা রুখতে মুখ্যমন্ত্রীকে বড়সড় সাহায্যের আশ্বাস ইমামদের! প্রশংসার বন্যা সর্বত্র

ভয়াবহ করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াই করে কোনোমতেই সাফল্য পাচ্ছেন না কেউ। প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কেউই এই করোনা মহামারীকে বধ করার জন্য সঠিক অস্ত্র খুঁজে পাননি। তবে প্রতি মুহূর্তে প্রত্যেকে চেষ্টা করছেন, এই করোনা মহামারীতে মোকাবিলা করার। যত দিন যাচ্ছে, তত পশ্চিমবঙ্গে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এমতাবস্থায় এবার করোনা মহামারীর সঙ্গে মোকাবিলা করতে এগিয়ে এলেন পশ্চিমবঙ্গের ইমামরা।

সূত্রের খবর, বেঙ্গলি ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি পত্র পাঠিয়ে রাজ্যের 2000 মাদ্রাসা কমিটির কাছে ইমামদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে যে, করোনার সময় রাজ্যে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা সমস্ত কিছু বন্ধ রয়েছে। তাই আগামী 2-3 মাস সেগুলোতে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা অত্যন্ত কম হবে। সেগুলোকে যেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিণত করা হয়। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এই কঠিন সময়ে বাংলার ইমামদের এই মানবিক সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই প্রশংসার বন্যা ডেকেছে সর্বত্র।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মাদ্রাসা-মসজিদগুলোতে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য এভাবে খুলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হল এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে মসজিদগুলোতে আবেদন জানানো হল, তা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত মানবিক ব্যাপার বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই দারুল-উলুম- দেওবন্দ মাদ্রাসা বিল্ডিং কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করবার জন্য ছেড়ে দিয়েছে।

একাংশ বলছেন, কিছুদিন আগেই লকডাউন ঘোষণার পর নিজামুদ্দিনে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় সমাবেশের পর কেন সংখ্যালঘু সমাজ এই কাজ করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন একাংশ। কিন্তু এবার ইমামদের পক্ষ থেকে যেভাবে মসজিদগুলোতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার জন্য মসজিদগুলোর কাছে আবেদন জানানো হল, তাতে সংখ্যালঘু সমাজের মধ্যেকার মানবিক দিক প্রকাশ্যে চলে এল বলে মত বিশ্লেষকদের। বিশেষ করে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন – তাতে ইমামদের এই পদক্ষেপ সফল হলে, তাঁর হাত আরও শক্ত হবে। আরও বেশি করে তিনি বাংলার মানুষকে করোনা যুদ্ধে জয়ী করতে পারবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এখন ইমামদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে মসজিদগুলোর কাছে আবেদন জানানো হলে মসজিদ কতৃপক্ষরা কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। তবে, করোনার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই জাত-ধর্মের উপরে উঠে সবাই যে মানবতাকে বাঁচাতে লড়ছেন – তা বাংলার ইমামদের এই পদক্ষেপেই প্রমাণিত হয়ে গেল। বিশেষ করে ভরতবর্ষ – সর্বদাই বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের দেশ বলেই পরিচিত। আর তাই ইমামদের পদক্ষেপে মানবতার জয়গান বেজে ওঠায় – সমাজের সর্বস্তর থেকেই ভেসে আসছে প্রশংসার বাণী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!