“আমার পুরো বাংলা শেষ হয়ে গেল! ক্ষতি হয়ে গেল!” অসহায় মমতা! কলকাতা রাজ্য May 21, 2020 অতীতের অনেক ঝড়ঝঞ্ঝা সামলাতে হয়েছে তাকে। কখনও এমন অসহায়তার মুখে পড়তে দেখা যায়নি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু একটা আমফান ঝড় রীতিমতো চিন্তা বাড়িয়ে দিল বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের। অনেক আগে থেকেই এই দুর্যোগকে আটকাতে পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রকৃতির রুদ্রমূর্তি আটকানো গেল না। কিভাবে তার দাপট চালাবে আমফান, তা নিয়ে প্রথম থেকেই নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে বুধবার বিকেল থেকে আমফান কলকাতা, দুই 24 পরগনায় ব্যাপক দাপট চালানোর পর রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়লেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুরো ঝড়টাই বাংলার উপর দিয়ে গিয়েছে। এর ফলে আমার প্রচুর ক্ষতি হয়ে গেল। একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষকে আমরা মোকাবিলা করছি। আমাদের এখানে দিঘাতে যতটা হিট করবে ভেবেছিলাম ততটা হয়নি। আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়ায় অনেক বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে গেছে। তবে আমার দুই 24 পরগনা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমি নবান্নে নিজের ঘরে ঢুকতে পারছি না। পুরো বিল্ডিং কাঁপছে। সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে। আমার খুব খারাপ লাগছে। যা দেখলাম তাতে করোনার থেকেও বড় বিপর্যয় পেয়ে গেল।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই ভয়াবহ তান্ডবে কেন্দ্রের কাছেও আবেদন জানাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।তিনি বলেন, “আজকে যে তাণ্ডব দেখলাম, তাতে খুব আঘাত পেয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন থাকবে, এই সময় রাজনীতি না করে বাংলার পাশে দাঁড়ান। আমরা যেখানে কাজ করছি সেই নবান্নে অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমি সাধারণ মানুষকে আবেদন করব, রিলিফ ক্যাম্প ছেড়ে কোথাও যাবেন না। পরিস্থিতি সামাল দিতে 10-12 দিন সময় লাগবে। এখন অনেক জায়গায় তান্ডব হচ্ছে। আমি ভাবতে পারছি না, সবকিছু ঠিক কি করে করব! যা খবর পাচ্ছি, তাতে সবকিছু নতুন করে করতে হবে। এত ঝড় হবে কেউ ভাবতেই পারেনি। আমাদের সব পঞ্চায়েতগুলোকে মানুষের কাজে মনোনিবেশ করতে বলব। সবকিছু ছেড়ে মানুষের পাশে এখন দাঁড়াতে হবে।” বস্তুত, কিছুদিন আগেই বুলবুল ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যকে। তারপরেই ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এবার ভয়াবহ ঝড়ের দাপটে সেই সমস্ত কিছু আবার ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় রীতিমত স্তম্ভিত বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। এদিন তিনি বলেন, “বুলবুলের সময় মেরামত করেছিলাম। আজ যেটা হল, সেটা পুরো ধ্বংস। করোনার জন্য এমনিতেই রাজ্যের আয় বন্ধ। তারপর যা ক্ষতি হল, তা হয়তো কয়েক হাজার কোটিতে চলে যাবে।” সব মিলিয়ে বহু লড়াইয়ের সামনে দাঁড়ানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এদিন আমফানের দাপটে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া রাজ্যের ছবি দেখে রীতিমতো অসহায় দেখাল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -