এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ১৮ থেকে ২১, ব্যাপক পরিবর্তন বাংলার ভোট ইস্যুতে! সারদা-নারদা এখন হারানো কিস্যা!

১৮ থেকে ২১, ব্যাপক পরিবর্তন বাংলার ভোট ইস্যুতে! সারদা-নারদা এখন হারানো কিস্যা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত 2016 সালে তদানীন্তন ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিং ভিডিও ফুটেজ করে নারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল বঙ্গবাসী তথা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে। যে ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে টাকা নিচ্ছেন। যাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় জনতা পার্টি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নির্বাচনী ময়দানে একাধিক প্রচার চালিয়েছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই কলেবরে বেড়ে উঠেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

বর্তমানে বিজেপির বাংলার যে সমস্ত নেতাদের নেতৃত্বে আগামী বিধানসভা নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেই নেতৃত্বদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে নারদা কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে সারদার সঙ্গে যুক্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আবার সেই সমস্ত নেতৃত্বদের বাদ দিয়েও এগোতে পারবে না ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এরকম একটা সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে এখন প্রধান হাতিয়ার হিসেবে সারদা, নারদাকে কোনো মতেই সামনে আনা সম্ভব না।

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবাংলার সবথেকে বড় বিরোধী রাজনৈতিক দলের নাম যে ভারতীয় জনতা পার্টি, সেকথা আজকের রাজনীতিতে সর্বজন স্বীকৃত। কারন বিগত নির্বাচনগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে পশ্চিমবাংলায় কংগ্রেস থেকে শুরু করে সিপিএম এবং অন্যান্য বামদলগুলোর অবস্থা করুনতর হয়ে গেছে। রক্তক্ষরণ অব্যাহত রয়েছে বামফ্রন্টের।

গত লোকসভা নির্বাচনে একটি আসন বাদ দিয়ে বাদবাকি সব কটি আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বামফ্রন্টের। কাজেই বাংলার রাজনীতিতে বিরোধী শক্তি হিসেবে তারা যে আর আত্মপ্রকাশ করতে পারবে না, সেই বিষয়ে প্রায় সকলেই নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে তাদের তোলার সারদা, নারদা অভিযোগ অনেক ক্ষেত্রেই ভিত্তিহীন হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। সেদিক থেকে এই দুর্নীতির অভিযোগ যে একমাত্র অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি করতে পারে, সেই বিষয়েও নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

তবে বিজেপি এই সারদা, নারদা ইস্যুকে সামনে রেখে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কতটা লড়াই করবে, সেই প্রশ্ন এখন বিশবাঁও জলে। কেননা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে অনেককেই সহ অনেকেই নারদের ভিডিও ফুটেজ টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। আর শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সেই ভিডিও ফুটেজ ইউটিউব থেকে উঠে যাওয়ায় জোর সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে‌।

প্রত্যেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার কারণেই কি তার বর্তমান দলের নেতারা তার অতীতের করা কির্তী ইউটিউব থেকে তুলে নিলেন! তাহলে কি এটা প্রমাণিত হচ্ছে না যে, ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাকর্মীরা যে কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত, সেই কেলেঙ্কারিকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট প্রচার করার মতো ক্ষমতা ভারতীয় জনতা পার্টির নেই বলে দাবি একাংশের।

এদিকে একইভাবে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কেও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে ছাড় দিতে দেখা গেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযোগ করা হয়েছে, যতক্ষণ তৃণমূলে রয়েছেন, ততক্ষণ সিবিআই অথবা ইডির ভয়। আর যখনই তৃণমূল ছেড়ে কোনটা নেতৃত্ব ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেবেন, সেই সময় তাদের মাথা থেকে সেই ভয়ের করালগ্রাস চলে যাচ্ছে। আর এই কারণেই অনেক নেতার চাপে এবং তাপে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করছেন বলে দাবি তৃণমূলের।

আর এখানেই একাংশ বলছেন, এই জায়গা থেকে আগামী 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে যে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে সারোদা এবং নারদা কান্ড ইস্যু হতে যাচ্ছে না, সেই বিষয়ে একমত সকলেই। কেননা এই সারোদা এবং নারদাকে ইস্যু করলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যেমন বিজেপির বলার জায়গা থেকে যাচ্ছে, ঠিক একইভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধেও তৃণমূলের বলার কথার কোনো শেষ নেই। তাই আগামী নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভারতীয় জনতা পার্টি কোন বড় বড় ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হয়, সেদিকেই নজর গোটা রাজনৈতিক মহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!