এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অশান্ত বাংলাকে শান্ত করতে আপৎকালীন ভিত্তিতে কালীঘাটে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর

অশান্ত বাংলাকে শান্ত করতে আপৎকালীন ভিত্তিতে কালীঘাটে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর

 

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রবল আন্দোলন শুরু হয়েছে। কোথাও রাস্তা অবরোধ, কোথাও ট্রেনে হামলা, আবার কোথাও বা স্টেশনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়তে শুরু করেছে উত্তেজনা।

আর এই পরিস্থিতিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন না মানলেও, আন্দোলনকারীদের আন্দোলন যাতে গণতান্ত্রিক পথে হয়, তার জন্য বারেবারেই আবেদন জানাতে দেখা গেছে রাজ্য সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, প্রায় সকলেই আন্দোলন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয়, তার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।

কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। উল্টে বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন সামাল দিতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খাওয়ার জোগাড় পুলিশ প্রশাসনের। আর এই পরিস্থিতিতে অশান্ত বাংলাকে শান্ত করতে কালীঘাটের বাড়িতে জরুরী বৈঠক করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রবিবার নিজের বাড়িতে একটি জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব, মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, এডিজি আইন-শৃঙ্খলা সহ পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

জানা গেছে, কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যে যেভাবে বিক্ষোভ চলছে, তা কড়া হাতে দমন করতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কোথাও যাতে কোনো গণ্ডগোল না হয়, তার জন্য সব সময় সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও এই নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই আইনের বিরোধিতা করে যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত উত্তপ্ত হচ্ছে, তাতে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ফলে সেদিক থেকে বিপাকে পড়তে পারে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাই নিজেদের দিকে যাতে কোনো দোষ না আসে, তার জন্য বাংলার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কিন্তু এতে করে অবস্থার কোনো উন্নতি হয় কিনা, এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!